মনে করা হচ্ছে, ভারতকে ফাঁদে ফেলতে চিন এবং পাকিস্তান মিলেই এই কারসাজি করেছিল৷ যদিও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই ফাঁদে পা দেননি৷ আর ভারতের এই পদক্ষেপেই বেনজির ভাবে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র সদস্য দেশগুলির মধ্যে ফাটল প্রথমবার সামনে চলে এল৷ প্রশ্ন উঠে গিয়েছে চিনের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা নিয়ে৷
সূত্রের খবর এসসিও-র সম্মেলনের শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের যে যৌথ বিবৃতি তৈরি করা হয়, সেখানে গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার কোনও উল্লেখই ছিল না৷ পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য এক লাইনও সেখানে লেখা হয়নি৷ অথচ বালুচিস্তান অশান্ত হয়ে ওঠার জন্য পরোক্ষে ভারতের দিকেই আঙুল তোলা হয়৷ ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করেছন, বালুচিস্তানে বাইরের কোনও শক্তি অশান্তির সৃষ্টি করছে বলে তুলে ধরে সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত দেওয়ার অভিযোগ থেকে গোটা বিশ্বের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইসলামাবাদ এবং বেজিং৷ রাজনাথ ওই যৌথ বিবৃতিতে সই করে দিলে সরকারি ভাবে পাকিস্তানের অভিযোগে সিলমোহর পড়ে যেত৷ আর তা করতে পারলেই বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের গুম করে দেওয়া, বিচারপ্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে বালুচিস্তানে খুন, হত্যার ধারা বজায় রাখতে সুবিধে হত ইসলামাবাদের৷ কিন্তু এসসিও-র নথিতে ভারত সই না করায় সেই পরিকল্পনা আপাতত বানচাল হয়ে গিয়েছে৷
advertisement
এর আগেই অবশ্য ভারত সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র এসসিও-র সদস্য দেশগুলির হাতে তুলে দেয়৷ পহেলগাঁও নিয়ে নাম না করে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেন রাজনাথ৷ সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে যারা, সেই সমস্ত দেশের সমালোচনা করার জন্যও এসসিও-র সদস্য দেশগুলির কাছে দাবি জানান রাজনাথ৷