কয়েকদিন আগেই চিনকে চাপে রাখতে তিব্বত নীতি ও সহায়তা আইন পাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আইনে সই করে চিনের রক্তচাপ আগেই বাড়িয়ে রেখেছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর চিন প্রসঙ্গে মার্কিন নীতি নরম হবে এমন সম্ভাবনা কম। জল মাপতে ট্রাম্পের সমালোচনা এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর বার্তা দিয়েছিল চিন। কিন্তু আমেরিকার তরফে সেভাবে এই চিনা প্রস্তাবের প্রশংসা বা নিন্দা কোনওটাই করা হয়নি। তাই চিন ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না বাইডেন এলে আমেরিকার চিন নীতি কেমন হবে। ট্রাম্প সরাসরি মুখে যেটা বলতেন, বাইডেন না বললেও অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন এই ভাইরাসের পেছনে চিনের হাত রয়েছে।
advertisement
একদিকে করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্বের চোখে ভিলেন, তার ওপর ভারতের সঙ্গে লাদাখে প্রায় আট মাস ধরে চলা স্ট্যান্ড অফ, সঙ্গে তাইওয়ান, জাপান, মালয়েশিয়ার চিনের গা জোয়ারি নীতির বিরুদ্ধে এক হয়ে আসরে নামা। সব মিলিয়ে চাপে রয়েছে চিন। আমেরিকান নতুন আইনে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে. তিব্বতের মানুষ নিজেদের ধর্মগুরু অর্থাৎ পরবর্তী দালাই লামা কে হবেন তা নিজেরাই বেছে নিতে পারবেন। চিনের সম্মতির প্রয়োজন নেই। চিন যদি এ ব্যাপারে জোর খাটায় তবে তা বেআইনি হিসেবে গণ্য করা হবে এবং যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।
কিন্তু চিন বারবার বলে আসছে তিব্বত চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সুতরাং সেখানে চিনা আইন-কানুন ছাড়া অন্য কিছু চলার সম্ভাবনা নেই। যদিও ভারতে বর্তমান দালাই লামা ছাড়াও কয়েক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। আমেরিকা এবং ইউরোপেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই নিজেদের দুর্বল জায়গায় আঘাত লাগার ভয়ে লাল চিন যে বেশ চাপে রয়েছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।