উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই হামলায় এক প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক শিশুর মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দিয়েছে জার্মান নিউজ এজেন্সি ডিপিএ। ৬০ জন আহত, যাদের মধ্যে আবার ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সৌভাগ্যক্রমে নরবলির হোতা সেই গাড়ির চালককে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। জার্মান নিউজ এজেন্সি ডিপিএ-র সূত্রে জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মাজবুর্গ শহরে ঘটেছে।
advertisement
ওই গাড়ির চালককে ভিডিওয় রাস্তার মাঝখানে পায়চারির জন্য বরাদ্দ জায়গা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে, এক জার্মান পুলিশকর্মী তাঁর মাথার দিকে রিভলবার তাক করে ছিলেন। শীঘ্রই অন্য পুলিশকর্মীরা এসে ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেন।
জানা গিয়েছে যে ওই গাড়ির চালকের বয়স ৫০ বছর, পেশায় তিনি ডাক্তার, একটি বিস্ফোরক বোঝাই বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে মাজবুর্গের বড়দিনের বাজারে তিনি এই হত্যালীলার পরিকল্পনা করেছিলেন। আদতে ওই ডাক্তার সৌদি আরবের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি মাজবুর্গ ক্লিনিকে কাজ করতেন।
২৪০,০০০ অধিবাসী অধ্যুষিত মাজবুর্গের বড়দিনের বাজারে এই প্রথম হলেও বার্লিনে এই ঘটনার নজির মিলবে ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বরে। সেবারও এক ট্রাক নিয়ে এক ব্যক্তি ১৩ জনকে হত্যা এবং অগণিত নাগরিককে আহত করেছিলেন। পরে সেই দুষ্কৃতী ইতালিতে শ্যুটআউটে নিহত হন।
মাজবুর্গের এই ঘটনায় শোকবার্তা দিয়েছেন ইউনাইটেড কিংডমের প্রাইম মিনিস্টার কের স্টারমার। এক্স সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে তাঁর মন পড়ে আছে আহত, নিহত, তাঁদের পরিবার এবং ঘটনায় প্রভাবিত অন্যদের কাছে। তাঁরা যে জার্মানির সঙ্গেই আছেন, এটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি।
অন্য দিকে, জার্মান ইন্টিরিয়র মিনিস্টার ন্যান্সি ফেজার জানিয়েছেন যে এই বছর বড়দিনের বাজার ঘিরে এমন হামলার আঁচ তাঁরা আগে থেকে পাননি, তবে যা হয়ে গেল, তাতে প্রতি পদক্ষেপে সজাগ থাকাই উচিত হবে।