শুধু কটাক্ষ বা ব্যঙ্গ নয়, অনেকে এও বলতে শুরু করেছে, ট্রাম্প মাস্ককে রাষ্ট্রপতি পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। এই নিয়ে মার্কিন মুলুক সরগরম। অবশেষে মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং। জানিয়ে দিলেন, মাস্ক কোনওদিনই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। কেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কেবলমাত্র মার্কিন মুলুকে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিই সে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন। এই নিয়মের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, মাস্ক কোনওদিনই “রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না”। তাঁকে শুধু “গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” বিভাগের প্রধান করা হচ্ছে।
advertisement
অ্যারিজোনার ফিনিক্সে রিপাবলিকান সমাবেশে এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমরা গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি নামের একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করছি। মাস্ক এই মন্ত্রকের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন না।”
এই নিয়ে ডেমোক্র্যাটদেরও তুলোধনা করে ট্রাম্প বলেন, “ওরা আবার একটা নতুন প্রচার শুরু করেছে। এতদিন রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন ইউক্রেন ইউক্রেন… সব ভুয়ো গল্প। এখন আবার বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প না কি এলন মাস্ককে রাষ্ট্রপতি পদ ছেড়ে দিয়েছেন। না, এমন কিছু হচ্ছে না।”
এদিন মাস্কেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তাঁকে “বুদ্ধিমান মানুষ” আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এলন অসাধারণ কাজ করছেন। তাঁর মতো বুদ্ধিমান মানুষের সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ ব্যাপার নয় কী! মাস্ক জনজীবনে দুর্দান্ত অবদান রাখছেন।”
এরপর জোরের সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “তিনি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন না। এটা আপনাদের বলতে পারি। আর জানেন কেন তিনি কোনওদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না? কারণ তিনি এই দেশে জন্মাননি।” হাত তুলে উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন ট্রাম্প, “না, না, এমনটা ঘটছে না।”
আরও পড়ুন: ‘২৫ সালের শুরুতেই মালব্য রাজযোগ! ৩ রাশির হাতে কুবেরের ধন, টাকার বন্যা
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খুব বেশি কিছু বলেননি এলন মাস্ক। শুধু বলেছেন, ট্রাম্প “দারুণ”। তিনি প্রেসিডেন্ট হতে চান কি না, কোনওদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে কি না, এসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মাস্ক।
এখানে বলে রাখা ভাল, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হতে হলে সেই ব্যক্তিকে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন নাগরিক হতে হবে। টেসলা এবং স্পেস এক্সের প্রধান এলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। ফলে মাস্ক চাইলেও আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না।