রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। বেলচা দিয়ে রাস্তা খনন করার সময় একটি আজব জিনিসের সন্ধান পান তাঁরা। অথচ বুঝতেই পারেননি যে, তাঁদের হাতে স্বয়ং বিপর্যয় রয়েছে। এরপরে অবশ্য শহরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা এটি চিহ্নিত করেন। আসলে সেগুলি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জীবন্ত বা সক্রিয় বোমা। এর মধ্যে একটিতে যদি বিস্ফোরণও ঘটে যেত, তাহলে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসতে পারত।
advertisement
আরও পড়ুন– রাফাল, F-35 বা সুখোই-57 নয়, ভারতের নজর এখন এই যুদ্ধবিমানের দিকে, ঢেলে সাজবে বাহিনী
জীবন্ত বা সক্রিয় বোমার সন্ধান পেলেন খননকর্মীরা:
সোমবার জার্মানির কোলনে রাস্তা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছিল। সেই সময় খননকর্মীরা সেখানে জীবন্ত বোমার সন্ধান পান। আর এই বোমাগুলি ছিল আসলে মার্কিন বোমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমাগুলি এই শহরে পড়েছিল। আর এহেন বোমা দেখে সেখানে উপস্থিত আধিকারিকরাও যারপরনাই চমকে উঠেছিলেন। কারণ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়িয়ে দিয়ে সক্রিয় বোমাগুলিকে নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করাটাই ছিল বড়সড় চ্যালেঞ্জ।
Photo Courtesy: EPA/BBC
সরানো হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার মানুষকে:
যেখান থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল, সেখানকার ১০০০ মিটার এলাকা থেকে বুধবার সকালে প্রশাসনের তরফে প্রায় ২০,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছিল। জার্মানির কোলনে প্রাপ্ত বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার মার্কিন বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্যই ওই শহরের সিটি সেন্টার থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। কারণ যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দীর্ঘ ৮০ বছর পর মিলল এমন বোমার সন্ধান:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় ৮০ বছর কেটে গিয়েছে। ওই বিশ্বযুদ্ধের বিমান হানার সময় ফেলা হয়েছিল বোমাগুলি। সেগুলিই আজও বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। জার্মানিতে হামেশাই উদ্ধার হয় এই ধরনের বোমা। অথচ সেখানকার বাসিন্দারা জানেনও না যে, সেগুলি কতটা বিপজ্জনক। যদিও এই বিষয়টা এবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। কারণ সেই ১৯৪৫ সালের পর কোলনে এই প্রথম সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। আসলে ওই এলাকায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি রয়েছে ৫৮টি হোটেল, ৯টি স্কুল, একাধিক অফিস বিল্ডিং, জাদুঘর এবং রেলস্টেশনও।