ওই সংগঠনের আরও দাবি, পাকিস্তানি সেনা সফল অভিযানের মাধ্যমে সব পণবন্দিকে নিরাপদে উদ্ধার করে আনার যে গল্প শোনাচ্ছে, তা পুরোপুরি মিথ্যে৷ নিজেদের নিরাপত্তাবাহিনীর মনোবল ধরে রাখতেই পাক সরকারও প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে না বলেই দাবি করেছে বিএলএ৷ একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ পণবন্দি যাত্রীদের জীবনের থেকেও পাকিস্তান সরকার একগুঁয়েমি এবং সামরিক জেদাজেদিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ যার খেসারত দিয়েছেন পণবন্দি যাত্রীরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার চরমসীমা, পণবন্দি এখনও ২১৪ জন! পাক সরকারকে কী শর্ত দিল বালোচ হামলাকারীরা?
গত মঙ্গলবার বালোচিস্তানের দুর্গম পাহাড় ঘেরা এলাকায় রেল লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার গামী জাফর এক্সপ্রেসের দখল নেয় বিদ্রোহী বালোচরা৷ ওই ট্রেনটিতে প্রায় সাড়ে চারশো যাত্রী ছিলেন৷ প্রথমে অবশ্য মহিলা, শিশু সহ বেশ কিছু যাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা৷ তবে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েকজন যাত্রীকে হত্যাও করা হয়৷ মূলত ইদের ছুটিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া পাক সেনার জওয়ানরাই ছিল বালোচ জঙ্গিদের টার্গেট৷ শেষ পর্যন্ত দুশোর বেশি যাত্রীকে পণবন্দি করে তারা৷ যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পাক সেনাবাহিনীর সদস্য৷
বিএলএ পাক সরকারের কাছে দাবি করে, বালোচিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত যাদেরকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি দিতে হবে৷ তা না হলে পণবন্দিদের হত্যা করা হবে৷ যদিও বিএলএ-র এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে পণবন্দিদের উদ্ধার অভিযানে নামে পাক সেনা৷ প্রায় ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষের পর পাক সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বালোচ জঙ্গিদের হত্যা করে পণবন্দিদের নিরাপদে মুক্ত করা হয়েছে৷
যদিও পাক সরকার এবং সেনার এই দাবিকে প্রথম থেকেই মানতে চায়নি বিদ্রোহী বালোচরা৷ তাদের দাবি ছিল, জাফর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পাক সেনাবাহিনী এবং বিএলএ-এর মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে৷ এবার বিএলএ-র চাঞ্চল্যকর দাবি, প্রত্যেক পণবন্দিকেই হত্যা করা হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বিএলএ আরও দাবি করেছে, পাকিস্তানের সরকারি সংবাদমাধ্যম বা মুখপত্রের কথায় বিশ্বাস না করে আসলে কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত করে দেখা হোক৷ একই সঙ্গে বিএলএ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পাক সেনার বিরুদ্ধে তাদের অতর্কিত হামলা চলতেই থাকবে৷