সিরিয়ায় আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট) লক্ষ্য করে বড়সড় সামরিক অভিযান শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন সেনাদের উপর প্রাণঘাতী হামলার পর এই প্রত্যাঘাত বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানের নাম অপারেশন হকআই স্ট্রাইক। অভিযানের মূল লক্ষ্য আইএসআইএস জঙ্গি, অস্ত্রভাণ্ডার ও তাদের অপারেশনাল ঘাঁটি ধ্বংস করা।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ঘটনা! ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ৪ জীবন
advertisement
মেসির ইভেন্টে বিশৃঙ্খলা হল কেন? শতদ্রু দত্তকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল নতুন তথ্য!
মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর সিরিয়ার পালমিরায় আইএসআইএসের হামলায় তিন জন মার্কিন সেনা নিহত হন। ওই হামলার সরাসরি জবাব হিসেবেই এই বিমানহানা চালানো হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, “এটা যুদ্ধের সূচনা নয়—এটা প্রতিশোধের ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্র, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে, নিজের নাগরিকদের রক্ষায় কখনও দ্বিধা করবে না, কখনও পিছু হটবে না।”
ডিসেম্বরের ওই হামলাটি এ বছর এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের উপর অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে প্রশাসন। নিহত সেনাদের দেহ পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয় এবং তাঁদের সম্মানে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধানুষ্ঠানও আয়োজিত হয়।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, এই হামলার জন্য দায়ীরা কঠোর পরিণতির মুখে পড়বে। অভিযান শুরুর পর হোয়াইট হাউস জানায়, বিদেশে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের উপর ভবিষ্যৎ হামলা ঠেকাতেই এই কড়া পদক্ষেপ।
ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, নিহত মার্কিন সেনাদের হত্যার জবাব দিতেই এই অভিযান। তাঁর দাবি, সিরিয়াজুড়ে আইএসআইএসের শক্ত ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেই আঘাত হানা হচ্ছে। ট্রাম্প আরও বলেন, বহু বছরের সংঘাতে বিধ্বস্ত সিরিয়া আইএসআইএস পুরোপুরি নির্মূল হলে ভবিষ্যতে আরও ভাল পথে এগোতে পারে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, সিরীয় সরকার এই অভিযানের বিষয়ে অবগত এবং অঞ্চল থেকে জঙ্গি সংগঠনকে সরাতে নেওয়া উদ্যোগকে সমর্থন করছে।
