সূত্রের খবর, মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই অস্থিরতা বেড়ে চলেছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এমন খবরও ছড়ানো হচ্ছে নির্বাচন এই মুহূর্তে আয়োজন করা নিরাপদ নয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হওয়ার কথা বাংলাদেশে।
ফলে, বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক হিংসা ও অস্থিরতা প্রাক্-নির্বাচনী অনিশ্চয়তার মধ্যে এই পরিস্থিতি আরও স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। একাধিক সূত্রের দাবি, ভয় ও অস্থিতিরতার পরিবেশ তৈরি করতে এই অশান্তি পরিকল্পিতভাবে উপায়ে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মতে, এই অস্থিরতা এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
advertisement
সূত্রগুলির আরও দাবি, ক্রমশ অবনতি হওয়া নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এমন একটি বয়ান তৈরি করা হচ্ছে যে নির্বাচন নিরাপদ নয়। এর মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে, আর সেই ফাঁকে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি রাস্তায় নিজেদের প্রভাব আরও মজবুত করছে। তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিকে পরিচালিত অস্থিরতা বলে বর্ণনা করেছেন, যেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে দ্রুত রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে এবং তা চরমপন্থী ও বিরোধী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা গণআন্দোলন সংগঠিত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাসিনা বিরোধী নেতা শরিফ ওসমান হাদি গত ডিসেম্বর ১৮ তারিখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আর হাদির মৃত্যুর পরেই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। মূলত, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহীতে আগুন, ভাঙচুর এবং লুঠতরাজ চালানো হয়েছে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই ‘প্রথম আলো’ এবং ‘ডেইলি স্টার’-এর ঢাকার অফিসে ভাঙচুর চালানোর পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ২৫ জন সাংবাদিককে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই প্রবল অশান্তি মূলত ভারত বিরোধী জিগির বলেই মনে করছে বেশ কিছু সূত্র। জানা গিয়েছে, ভারতের উপদূতাবাসে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
