আরও পড়ুন: ৭১-এর যুদ্ধে ভারত না কি শুধুমাত্র সহযোগী ছিল, এবার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা বাংলাদেশের!
মূল ডি-৮ অধিবেশনের পাশাপাশি, এই দুই নেতা একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন। পাকিস্তান এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে দেখিয়েছে যে, বাংলাদেশ ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে।
শাহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, এখন থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের পণ্য আগমনের সময় শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে না। এছাড়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। আগে ঢাকার বিমানবন্দরে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য একটি বিশেষ সুরক্ষা ডেস্ক ছিল, যা এখন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়াও অনেক সহজ করা হয়েছে।
advertisement
উপরন্তু, উভয় নেতা সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদার করা, ক্রীড়া সহযোগিতা বৃদ্ধি, অ্যাকাডেমিক বিনিময় এবং শিক্ষার্থীদের চলাচল বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেই ভারতই ভরসা! ২৫ দিনে ৩৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের এই পরিবর্তিত অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আগে যেখানে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের নজরদারি ছিল কম, সেখানে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা সন্ত্রাসীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়া, এই উন্নয়ন আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে আরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ।
ডি-৮ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা একটি গ্রুপ, যা বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য গঠিত। ১৯৯৭ সালে ইস্তানবুল ঘোষণার মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ডি-৮ এর লক্ষ্য হল, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বিস্তৃত করা, আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান উন্নত করা এবং আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের প্রভাব বাড়ানো।
ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা এক বিলিয়নেরও বেশি, যা একটি বিশাল বাজার তৈরি করে। এই গ্রুপের সম্মিলিত জিডিপি প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ডি-৮ কে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলেছে।