ঢাকা: ভয়ঙ্কর অবস্থা বাংলাদেশের! জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ওসমান হাদির মৃত্যুর পরই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদমাধ্যমের অফিসে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চলাকালে ডেইলি স্টারের সামনে হেনস্তার শিকার হন নিউজ সম্পাদক নুরুল কবীর। ডেইলি স্টার ভবনে হামলার খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর একদল লোক তাকে ঘিরে হেনস্তার চেষ্টা চালায়। কয়েকজনকে তার গায়ে হাত দিতেও দেখা যায়। পরে নুরুল কবীর ডেইলি স্টার ভবনে প্রবেশ করেন।
advertisement
ঘটনার শুরু রাত প্রায় ১১টা নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, কয়েকশো বিক্ষোভকারী স্লোগান দিতে দিতে প্রথম আলো অফিসের সামনে জড়ো হয়। প্রথমে ভাঙচুর, তারপর আগুন। অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা অফিস চত্বরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাতের দিকে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয় দ্য ডেইলি স্টার-এর কারওয়ান বাজার (Kawran Bazar) অফিসে।
বাইরে থেকে ফোন করে সতর্ক করা হয়েছিল-ভিড় এগোচ্ছে। কিন্তু তার আগেই হামলাকারীরা ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও প্রথম তলায় ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।
ঘটনার পরপরই দ্য ডেইলি স্টার অফিসের সামনে সেনা মোতায়েন করা হয়। তবে উত্তেজনার আঁচ ততক্ষণে আরও ছড়িয়ে পড়েছে। সম্পাদক পরিষদের (Editors’ Council) সভাপতি ও নিউ এজ (New Age) পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির (Nurul Kabir)-কে হেনস্থা করার ঘটনাও সামনে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একদল উত্তেজিত জনতা তাঁর চুল টেনে ধরে মারধর করছে। সাংবাদিক সমাজে এই ছবি প্রবল ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
