বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মমতাকে চিঠিতে ড. এ কে আবদুল মোমেন লেখেন, 'ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনে জনগণের সমর্থন লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, যা আপনার নেতৃত্বের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ, আপনি বাঙালির দীর্ঘ লালিত মূল্যবোধ ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ’-এর পরিচয় রেখেছেন। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।' বিদেশমন্ত্রী এহেন চিঠির পরই হাসিনার শুভেচ্ছাবার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অভিনন্দন বার্তা দুদেশেই যথেষ্ট আগ্রহ সঞ্চার করেছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, মোমেনের এই চিঠি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও শাসক দলের প্রতি বাংলাদেশের একটা প্রচ্ছন্ন বার্তাও বটে।
এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দুটি স্লোগান বড় করে তুলে ধরেছিল। ‘খেলা হবে ও ‘জয় বাংলা’। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম-বর্ণ-জাতনির্বিশেষে বাঙালি শ্রেষ্ঠত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মমতাও এই ভোটে সার্বিক বাঙালি জাত্যভিমানকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার ফলও তিনি পেয়েছেন হাতে-নাতে। আর তিস্তা জলবন্টণ চুক্তি নিয়ে মমতার 'অনীহা' সত্ত্বেও হাসিনার সঙ্গে মমতার সুসম্পর্ক কারও অজানা নয়। তাই জয়ের পর মমতাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইলেন হাসিনা।