বাংলাদেশে ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে জ্বলছে গোটা বাংলাদেশ। এর মধ্যে গণপিটুনির পরে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু যুবককে। মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিককে সংযম দেখাতে এবং সব ধরনের হিংসা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে, সেই সঙ্গে এই অস্থিরতার জন্য ‘কয়েকজন চরমপন্থী‘ কে দায়ী করেছে।
advertisement
সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা সব ধরনের সহিংসতা, ভয় দেখানো, অগ্নিসংযোগ এবং সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনাকে দৃঢ়ভাবে এবং স্পষ্টভাবে নিন্দা করি। এটা আমাদের জাতির ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যখন আমরা এক ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে আছি। আমরা পারি না এবং পারা উচিত না, এই পরিবর্তনকে কয়েকজন যারা বিশৃঙ্খলা করে মজা পায় এবং শান্তি প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জন্য নষ্ট হতে দিতে।”
সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নির্যাতনের নিন্দাও করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই দ্য ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলোর সংবাদমাধ্যম পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে দ্য ডেইলি স্টার-এর অফিসে সেনা মোতায়েন করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ-এর রাজশাহীর অফিসেও আগুন লাগানো হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে ডাক পেলেন ২৬ হাজার নতুন চাকরিপ্রার্থী
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, “দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো এবং নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের প্রতি: আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন, তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। জাতি দেখেছে, সন্ত্রাসের মুখেও আপনারা সাহস ও সহনশীলতা দেখিয়েছেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে সত্যের ওপর হামলা। আমরা আপনাদের পূর্ণ ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি”। সংখ্যালঘু যুবককে খুন করা নিয়ে সরকার আরও বলেছে, “নতুন বাংলাদেশে এমন সহিংসতার কোনও জায়গা নেই। এই ভয়াবহ অপরাধের দায়ীদের ছাড়া হবে না।”
