এদিন বেলা ৩টা ৫১ মিনিট নাগাদ তারেক রহমান মঞ্চে ওঠেন। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি বক্তৃতা শুরু করেন। শুরুতেই বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন : ফেসবুকে ছবি, স্ট্যাটাস ‘বাংলাদেশ’! ১৭ বছর নির্বাসনের পরে ঢাকায় পা রাখলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের উপরেই দেশের ভার ন্যস্ত করার বার্তা দেন তারেক৷ বলেন, তরুণ প্রজন্মই আগামীতে দেশ গড়ে তুলবে৷ বলেন, ‘‘সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।’’ মা তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকলকে প্রার্থনা করার আর্জি জানান তাঁর ছেলে৷
advertisement
এদিন ২০২৪ সালের বিপ্লবকে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করতে দেখা যায় তারেককে৷ বলেন, ‘‘৭১ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।’’
তাঁর বক্তব্য উঠে আসে সদ্য খুন হওয়া ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যু প্রসঙ্গও৷ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহিদ হয়েছেন, ২৪ এ যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে জানান তিনি৷
নারী নিরাপত্তা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে তারেকের কথায়৷ জিয়াউর রহমানের পুত্রের বার্তা, ‘‘আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।’’
