ঢাকা: বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে বহুদিন ধরেই। বৃহস্পতিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ময়মনসিংহে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম দীপু দাস। অভিযোগ উঠেছে, কোনও বিচার ছাড়াই, কোনও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই এক সংখ্যালঘু হিন্দু যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু বর্বরতা সেখানেই থামেনি।
advertisement
মৃতদেহ গাছে বেঁধে স্লোগান দিতে দিতে আগুনে পোড়ানো হয়, পরে মহাসড়কে টেনে নিয়ে গিয়ে আবার আগুন ধরানো হয়। এই পুরো ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার হয় যা প্রমাণ করে, হত্যাকারীরা লুকোয়নি, বরং নিশ্চিত ছিল যে কেউ তাদের থামাবে না।
এই হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েক বছরে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের এক দীর্ঘ ও ভয়ংকর ধারাবাহিকতার অংশ এটি। যেখানে “অভিযোগ” মানেই কার্যত মৃত্যুদণ্ড, আর ধর্মীয় পরিচয়ই কাউকে অপরাধী বানানোর জন্য যথেষ্ট। দীপু দাসের মৃত্যু সেই বাস্তবতার আরেকটি রক্তাক্ত প্রমাণ।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়, এই নৃশংসতা প্রশাসনের চোখের সামনেই ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বহু মানুষ উপস্থিত ছিল, অনেকে ফেসবুকে লাইভ করছিল, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়মতো হস্তক্ষেপ করেনি। পুলিশ ও প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তা এই বাংলাদেশে নতুন নয়।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অতীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একাধিক সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশের একাংশের বক্তব্য এই ধরনের হত্যাকান্ড এক জাতীয় মব-সন্ত্রাস। কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে অভিযোগ রটিয়ে দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করা হচ্ছে।
