আন্দোলনের জেরে জনজীবন স্তব্ধ। ঢাকা থেকে সমস্ত রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে চলছে বিক্ষোভ। গাড়িতে, মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের দমাতে পুলিশ হিংস্র হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলো বন্ধ করে নির্মম হত্যালীলা চালিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের জের! বাংলাদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ
জানা গিয়েছে, নিহত সাংবাদিক হাসান মেহেদী ঢাকা টাইমসে কর্মরত ছিলেন। সন্ধ্যার পর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। তাঁর শরীরে ছররা গুলির ক্ষত ছিল। মৃত অপর তিনজনের মধ্যে ওয়াসিম (৩০), নাজমুল এবং মোহাম্মদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।
এ দিকে, বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, প্রয়োজন না থাকলে বাংলাদেশে এখন ভারতীয়দের না যাওয়াই ভাল। বাংলাদেশে যদি কেউ থাকেন, সেক্ষেত্রে বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অ্যাডভাইসারি জারি করে ভারতীয় নাগরিক ও ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্দেশে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের তরফে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-তেও সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ৫৬ শতাংশ সংরক্ষিত এবং ৪৪ শতাংশ সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। সেই সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে তখনকার মতো আন্দোলন থামাতে সমর্থ হয়েছিল সরকার। শুরু হয় আইনি লড়াই। সাত জন মুক্তিযোদ্ধার স্বজন ২০১৮-র সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশনামার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১-এ আদালতে যান। ৫ জুন আদালত রায় দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। তার পরই ফের আন্দোলনের পথে নামে ছাত্র এবং যুব সমাজের একাংশ। ইতিমধ্যেই হাসিনা সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছে।