গত ছ’মাস প্রকাশ্য ও গুপ্ত হত্যা চলছে বাংলাদেশে। নিশানায় মুক্তমনা মানুষ। ঘাতকের পৃষ্ঠপোষক মৌলবাদীরা। বাংলাদেশের বিদ্বজ্জনেরা মনে করছেন, একের পর এক খুনের ঘটনায় তাঁদের দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে।
আইএসের চিঠি পৌঁছেছে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে। কিন্তু, সত্যিই কি ইসলামিক স্টেট পাঠিয়েছে হুমকি চিঠি। এর পিছনে বিরোধীদের চক্রান্তের অভিযোগ উঠছে।
advertisement
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য, বিশেষ শক্তি রয়েছে সন্ত্রাসের পিছনে। একই মত ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষের।
হাসিনা সরকার গোড়ায় কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করলে জল এত দূর গড়াত না। মনে করছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদ্বজ্জনেরা।
যুদ্ধাপরাধীদের সাজা কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশে। তারই বদলা নিচ্ছে মৌলবাদীরা। কার্যত এক নির্ণায়ক লড়াইয়ের মুখে প্রতিবেশী।
বৃহস্পতিবার ইসলামিক স্টেটসের লেটারহেডে লেখা একটি চিঠি পৌঁছায় রামকৃষ্ণ মিশনে। তাতে কোনও এক এ বি সিদ্দিকি, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদককে অবিলম্বে ভারতে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ না মানা হলে ওই সহ-সম্পাদককে ২০ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে কুপিয়ে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷
মিশনের তরফে তৎক্ষণাৎ ঢাকার ওয়ারি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। হুমকি চিঠির প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। মিশনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতেই এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক মাথা রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে তাদের ৷