বাসটির চালক সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, ‘পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কম–বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে মহাসড়কের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে এত প্রাণহানির ঘটনা আগে ঘটেনি। এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।’
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট ঘোষণা ভারতীয় রেলের! এক ট্রেনের খবরেই লক্ষ-লক্ষ মানুষের মুখে হাসি, খুশি হবেন আপনিও
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর যায় পুলিশেও। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা মিলে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেন। সেখানেই ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের মাথায় বিমান ভেঙে আটকে ৭২ দিন, খিদে মেটাতে নরমাংসই খেলেন বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা!
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি খাদে পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি, অতিরিক্ত গতি ও সামনের ডান পাশের চাকা ফেটে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত কমিটি করবে বলে জানা গিয়েছে। তদন্ত কমিটি বাসটির ফিটনেস, চালকের লাইসেন্স এসব জেনে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবে। আপাতত চালক বা তাঁর সহকারী কে ছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। হতাহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।