ঘটনায় পেস্ট কন্ট্রোল সংস্থা ডিসিএস অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান-সহ মোট চারজন অভিযুক্ত। অভিযুক্ত চারজনের নাম ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির কর্মী টিটু মোল্লা ও মোসলেহ উদ্দিন শামীম। চারজনই আপাতত জামিনে মুক্ত।
advertisement
বাংলাদেশের একটি প্রথমসারির সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২ জুন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মোবারক হোসেন তুষারের বাড়িতে তেলাপোকা মারার ওষুধ দেয় পেস্টকন্ট্রোল সংস্থা ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের কর্মীরা। তাঁরা জানান, ৩-৪ ঘণ্টা পর বাড়িতে ঢোকা যাবে। কীটনাশক দেওয়ার ৯ ঘণ্টা পর মোবারক তাঁর স্ত্রী শারমিন জাহান ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যান। এরপর তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ৩ জুন সকাল ৭টায় শারমিন ও তাঁর দুই সন্তান বমি করা শুরু করেন। তখন মোসলেহ উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি জানান, কীটনাশকে এলার্জি ছাড়া অন্য কোনও সমস্যা হবে না। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ালে দুই সন্তান সাময়িক সুস্থতা বোধ করেন। ওই দিন রাতে তাঁরা সবাই বাড়িতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প কি বাতিল হয়ে যাবে? শুনেই হাইকোর্ট যা বলল, মমতা সরকারেরই জয়জয়কার
পরদিন ৪ জুন ভোর ৪টেয় দিকে ছোট ছেলে শাহির মোবারত জায়ান অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বড় ছেলে শায়ান মোবারত জাহিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকেও ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তাঁরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৫ জুন ‘দায়িত্বে গাফিলতির জন্য মৃত্যু’র অভিযোগে ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেন। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি এই ঘটনায় চার্জশিট জমা দেয় গোয়েন্দারা।