ব্রাজিলের একটি হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে একটি আশ্চর্য এই শিশুকন্যা। তাঁকে পৃথিবীতে এনেই চমকে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বাবা-মা পরিজনের ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়! মেয়ের পিছনে যে তৈরি হয়েছে একটা ছোট্ট লেজ। প্রায় ৬ ইঞ্চির মতো।
বাড়ছে আতঙ্ক! এবার অ্যাডিনোভাইরাসে মৃত্যু কলকাতার আড়াই বছরের শিশুর
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাচ্চাটির পরিবারের আর কারও এই ধরনের লেজ থাকার ইতিহাস নেই। বাবা-মাও সুস্থ। তাঁদের কোনও বদঅভ্যাসের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই খবর।
advertisement
কিন্তু তাহলে কেন? ঠিক কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটল? এ কি কোনও দৈব প্রভাব? নাকি বিজ্ঞান দিয়ে এমন আজব ঘটনার ব্যাখ্যা করা যায়? জানতে চান শিশুটির মা-বাবাও।
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
লেজ-এর উৎপত্তির কারণ খুঁজতে শিশুটির এমআরআই করেন চিকিৎসকেরা। তখনই পরিষ্কার হয় গোটা বিষয়। চিকিৎসকেরা বলেন, এ তো আসলে 'সিউডো টেল', নকল লেজ!
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমন কিছু দেখলে কক্ষনও কোনও কুসংস্কারকে মনে জায়গা দেবেন না। এমন ঘটনা পৃথিবীতে বিরল হলেও অসম্ভব নয়। আসলে হনুমান বা বাঁদর সম্প্রদায়ের কোনও জীব থেকেই যে মানুষের উৎপত্তি হয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়।
বিজ্ঞান বলছে, প্রত্যেক মানুষের শরীরের শিরদাঁড়ার শেষে এমনই একটি ছোট্ট লেজ লুকিয়ে থাকে। আধুনিক মানুষের ক্ষেত্রে লেজ একটি লুপ্তপ্রায় অঙ্গ, বা ভেস্টিজিয়াল অর্গান। শিশুটির ক্ষেত্রে সেই লুপ্তপ্রায় অঙ্গই আকার আয়তনে একটু বেশি বেড়়ে গেছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমন অবস্থার নাম স্পাইনা বিফিডা। শিশুটির ক্ষেত্রে অবশ্য অস্ত্রোপচার করেই লেজটিকে বাদ দিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। এখন যে সম্পূর্ণ সুস্থ।
