কিন্তু কী হয়েছিল। আসলে কোল্ডপ্লের কনসার্ট চলাকালীন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলেন তাঁরা। যুগলের মধ্যে গভীর চুম্বন হতে চলেছে ভেবে ক্যামেরা তাক করা হয়েছিল তাঁদের দিকেই। ফলে জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ওই দুটি মানুষের প্রতিচ্ছবি। প্রেমের জগতে যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন দুজনে। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা বুঝতে পারেন যে, তাঁদের উপরে ক্যামেরা তাক করা হয়েছে। আর সেটা বুঝতে পেরেই যেন একে অপরের বাহুডোর থেকে ছিটকে বেরিয়ে যান তাঁরা। এমনকী দুহাত দিয়ে ঢেকে ফেলেন নিজেদের মুখও।
advertisement
এদিকে ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার ক্রিস মার্টিন ওই যুগলের সঙ্গে খুনসুটি শুরু করেন। মজা করে মাইকে তিনি ঘোষণা করেন যে, “ওহ! এই দু’জনকে দেখুন।” ততক্ষণে হাসির রোল উঠে গিয়েছে সামনে জড়ো হওয়া ভক্তদের মধ্যে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসি-মজা যেন থেমে যায়।
কারণ জায়ান্ট স্ক্রিনে যে ব্যক্তির ছবি ভেসে উঠেছিল, তিনি কিন্তু যে-সে কেউ নন। বরং তিনি আসলে একটি বিলিয়ন-ডলার সফ্টওয়্যার কোম্পানি অ্যাস্ট্রোনমার-এর সিইও অ্যান্ডি বায়রন। আর তাঁর বাহুলগ্না হয়ে থাকা মহিলাটির পরিচয়ই বা কী! ওই মহিলার নাম ক্রিস্টিন ক্যাবট। তিনি অ্যান্ডি বায়রনের কোম্পানির চিফ পিপল অফিসার। তবে তাতেও অবশ্য দমানো যায়নি কোল্ডপ্লে সদস্য ক্রিসকেও। তিনি মজা করে বলে যেতে থাকেন যে, “হয় ওঁদের মধ্যে একটা পরকীয়া আছে অথবা ওঁরা দু’জনেই লাজুক প্রকৃতির।”
এদিকে বায়রনের লিঙ্কডইন-এ দেখা যাচ্ছে যে, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে সিইও রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ক্রিস্টিন ক্যাবট আরও একটি পদবী ব্যবহার করেন – থর্নবাই। তিনি গত নভেম্বর থেকেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার একজিকিউটিভ টিমে রয়েছেন। আর তাঁর ভূমিকাটা ঠিক কী? ক্রিস্টিন আসলে এইচআর হেড। নভেম্বরে সংশ্লিষ্ট সংস্থায় কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে জিতে নিয়েছিলেন সিইও বায়রনের প্রশংসাও।
আরও পড়ুন: ১৯ জুলাই, ২০২৫: কেমন যাবে আজকের প্রেমজীবন, জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
যদিও কোল্ডপ্লে কনসার্টে সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নিয়ে কোনও সীলমোহর আসেনি ওই যুগলের তরফে। তবে থেমে থাকেননি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “স্ত্রীর জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু ওঁদের পরকীয়া যে ফাঁস হল আর অপ্রস্তুতে পড়তে হল, তাতে আমি খুবই খুশি।” অন্য একজন বলেন যে, “ইন্টারনেটে আজকের সবথেকে বড় কেচ্ছা এটাই। অ্যাস্ট্রোনমারের সিইও নিজের কোম্পানির এইচআর হেডকে কোল্ডপ্লে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করছেন। ওই ব্যক্তির লিঙ্কডইন তো উত্তাল। আর ওঁর স্ত্রীর ফেসবুকেও তো ঝড় উঠেছে।”
প্রসঙ্গত বিগত ২ বছর ধরে অ্যাস্ট্রোনমার-এর সিইও পদে আছে অ্যান্ডি বায়রন। তার আগে ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনি লেসওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে অবশ্য ওই সংস্থাতেই উপদেষ্টার ভূমিকায় কাজ করেছেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আবার সাইবারিজন-এর চিফ রেভিনিউ অফিসারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।