বিমানবন্দর থেকে ওই শিশুটির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর আলোড়ন ফেলেছিল বিশ্বজুড়ে। জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির বাবা মির্জা আলি আহমাদি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। সেই কারণেই ওই সময় আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। সকলেই চাইছিলেন দেশ ছাড়তে।
advertisement
মির্জা আলি আহমাদি জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া যখন বিমানবন্দরের দিকে এগোচ্ছিলেন, তখনই মায়ের মনে কু ডাকছিল। কোলের সন্তান যদি হারিয়ে যায়! একসময় বিমানবন্দরের দেওয়ালের কাছে পৌঁছতেই তাঁরা নিজের সন্তানকে একজন সেনার হাতে তুলে দেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, বিমানবন্দরে প্রবেশের পর ওই সেনার কাছ থেকে সন্তানকে নিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন: 'আগেই বলেছিলাম...' BJP-র সাফল্যে আশাবাদী হলেও সতর্কতায় জোর দিলীপ ঘোষের
কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় মুহূর্তেই। তালিবানিরা বিমানবন্দরের বাইরের ভিড় কমাতে শুরু করে হামলা। ফলে সেই কারণে মির্জা আলি আহমাদি, ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আর তাঁদের শিশুকে খুঁজে পাননি। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা অবশ্য অসহায় বাবা-মা-কে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সন্তানকে আলাদাভাবে আমেরিকা পাঠিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি।
আরও পড়ুন: মন্দির খোলা নিয়ম মেনে, কিন্তু তারাপীঠে আগতদের জন্য বড় খবর! না জেনে যাবেন না...
আসলে ছোট্ট ওই শিশুটি বিমানবন্দরেই হারিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় ট্যাক্সিচালক হামিদ সাফির একরত্তি ওই শিশুটিকে খুঁজে পায় বিমানবন্দরে। নিজের সন্তানের মতোই আগলে রাখে সে শিশুটিকে। তালিবানরা এরপর হামিদকেও আটকও করে। তবে, সোহাইলকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার দিদা-দাদুর কাছে। এবার বাবা-মায়ের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।