যৌনকর্মীদের অভিযোগ, পর্যটকরা যৌনপল্লীতে আসার ফলে অবশ্যই তাঁদের আয় বাড়ে। কিন্তু যৌনপল্লীর মহিলাদের সঙ্গে তাঁদের বেশিরভাগই খুব খারাপ ব্যবহার করেন৷ যৌনতার নামে অনেক সময়ই অত্যাচার করতে শুরু করেন পর্যটকদের একাংশ৷
তাই বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা নিজেরাই চাইছেন না, তাঁদের কাজের এলাকায় পর্যটকরা প্রবেশ করুক ৷ এমনকি, তাঁরা বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সিকেও এই ব্যাপারে সতর্ক করেন। যৌনকর্মীদের তরফে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সরকারের কাছে।
advertisement
এবার এত অভিযোগের পর অবশেষে সরানো হচ্ছে এই যৌনপল্লী। নতুন একটি জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিখ্যাত আমস্টারডাম সেক্স মিউজিয়ামকে। মেয়র ফেমকে হালসেমা কিছুদিন আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সংক্রান্ত আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশাসনিক স্তরে চলছিল। এর পাশাপাশি ফেরিঘাট চত্বরে যে যৌনপল্লী আছে, সেখানেও সংখ্যা কমানো হচ্ছে।
Guardian-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের মাঝখান থেকে এই যৌনপল্লীটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এবিষয়ে ডাচ লেবার পার্টির ডেনিস বোটকান জানিয়েছেন, আমস্টারডামকে সব সময়ে পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়। পর্যটকদের আমস্টারডামের সৌন্দর্য্য়, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতা উপভোগ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু যা চলছিল, তা আর বরদাস্ত করা হবে না। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
যদিও এই পদক্ষেপে অনেক যৌনকর্মীই খুশি নন। তাঁরা মনে করছেন, যৌনপল্লী সরিয়ে নিয়ে গেলেই সমাধান হবে না। তাঁরা না কি এই কথা আগে থেকেই জানতেন! এই বিষয়ে তাঁদের একজন জানান, যৌনপল্লীটিতে আরেকটি সমস্যা ছিল ভিড় হয়ে যাওয়ার। ওই এলাকার বেশিরভাগ যৌনকর্মী নিজেদের দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় এই সমস্যা বাড়ছিল। ছোট জায়গায় বেশি চাপ পড়ে যাওয়ায় ভিড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে ফেরিঘাট চত্বরে আরও বেশি দরজা বন্ধ করে দিলে কী ভাবে সমস্যা সমাধান হতে পারে?