কয়েক বছর পর মার্কিন মুলুকে ফিরল ফ্লয়েড হত্যার সেই ভয়াবহ স্মৃতি। ঘটনাস্থল মেম্ফিস। পুলিসের অমানবিক অত্যাচারে প্রাণ হারালেন টায়ার নিকোলাস নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। গত ৭ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। এর তিনদিন পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার নিকোলাসকে মারধরের একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
সেখানে দেখা গিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ ওই যুবককে মাটিতে ফেলে নির্দয়ভাবে লাথি-ঘুষি মারছেন কয়েকজন পুলিসকর্মী। যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠেন নিকোলাস। আর্তস্বরে তিন বার ‘মা’ বলে ডেকে নেতিয়ে পড়েন তিনি। তারপরও অত্যাচার এতটুকু কমেনি। যুবকের মুখে আছড়ে পড়ে ভারী বুটের লাথি, ঘুষি। হাঁফাতে হাঁফাতে কাতর গলায় নিকোলাস বলতে থাকেন, আমি কোনও দোষ করিনি। আপনারা আমার সঙ্গে এটা করতে পারেন না।
advertisement
বেধড়ক মারধরের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নিকোলাস। ব্যথা-যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। এলাকায় তখন পর্যাপ্ত আলো। তবুও তাঁর চোখে টর্চের জোরালো আলো ফেলেন এক পুলিশকর্মী। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিসের একটি গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন বিধ্বস্ত নিকোলাস। মাঝেমধ্যেই মাথা ঝুঁকে পড়ছে তাঁর।
এই অবস্থাতেই তাঁকে সোজা করে বসাচ্ছেন পুলিসকর্মীরা। আপৎকালীন পরিষেবার সদস্যরা আসার আগে পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে নির্যাতন। এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজন পুলিস আধিকারিককে। যদিও ইতিমধ্যেই ধৃতদের মধ্যে চারজন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। ঘটনা ঘিরে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভ দানা বাঁধছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার নিকোলাসের মা ওয়েলেসের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন প্রয়োজনে যারা ছাড়া পেয়েছেন সেই পুলিশ অফিসারদের আবার জেলে দেওয়া হবে। কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন আইন আনবেন যাতে নির্দোষ ব্যক্তির গায়ে হাত তোলার আগে পুলিশ চারবার ভাবে।