তিনি মায়ানমারের বাইরে যাওয়ার জন্য একটি ফ্লাইটে উঠতে যাচ্ছিলেন। এসময় তাঁকে আটক করা হয়। ফ্রন্টিয়ার মায়ানমার বলেছে, ড্যানিকে কেন কর্তৃপক্ষ আটক করেছে, তা তারা জানে না। ড্যানির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ড্যানি এখন কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। ড্যানিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার। তারা বলেছে, এখন তাঁদের অগ্রাধিকার হল ড্যানি যে নিরাপদে আছেন, তা নিশ্চিত করা।
advertisement
পাশাপাশি তাঁকে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহায়তা দেওয়া। ফ্রন্টিয়ার মায়ানমারের প্রধান সম্পাদক টমাস কিন জানান, ড্যানি প্রায় এক বছর ধরে তাদের সংবাদমাধ্যমটিতে কাজ করছেন। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাইছিলেন। আটকের পর ড্যানিকে ইয়াঙ্গুনের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে ফ্রন্টিয়ার মায়ানমার।
ওই দেশে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরাও দমন-পীড়ন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। দেশজুড়ে অন্তত ৩৪ জন সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক কারাগারে রয়েছেন। গত মাসে জাপানের এক সাংবাদিককে আটক করে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মার্চ মাসে বিবিসির এক সাংবাদিককে অল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়।
তার আগে পোল্যান্ডের এক আলোকচিত্র সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মার্চে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মায়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে সম্প্রতি তিনজন সাংবাদিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাইল্যান্ডে যান। অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে সেখানে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।