জরুরি স্লাইড ব্যবহার করে ১৭৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রুকে নিরাপদে প্লেন থেকে বের করে আনা হয়। রানওয়েতে বিমানটির বাঁ দিকের ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুনের শিখা দেখা যায়। ডেনভার ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং বিমানবন্দরের জরুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
একটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ATC-র ককপিট অডিওতে একজন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার পাইলটকে বলেন, “ফ্লাইট ৩০২৩, আপনার বিমান থেকে প্রচুর ধোঁয়া উঠছে।”
advertisement
আরও পড়ুন- বেড়া টপকে ভারতের বন্ধু দেশে ঢুকতে গিয়ে চরম বিপাকে বাংলাদেশিরা! মাথায় হাত ইউনূস সরকারের
ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা বিমান থেকে স্লাইড ব্যবহার করে দ্রুত বেরিয়ে আসছেন। বিমান থেকে কালো ধোঁয়া উঠছিল তখনও। কিছু মানুষ রানওয়েতে নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বোয়িং ৭৩৭ মডেলের এই বিমানে মোট ১৭৩ যাত্রী এবং ৬ ক্রু সদস্য সওয়ার ছিলেন। পাইলট সতর্কতা বজায় রেখে টেকঅফ থামিয়ে দে। এর পর জরুরি স্লাইড খুলে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা জীবন বাঁচাতে বিমান থেকে স্লাইডের মাধ্যমে দ্রুত নামতে শুরু করেন। যাত্রীদের মতে, যখন প্লেন রানওয়েতে পৌঁছয়, তখনই হঠাৎ ধাক্কা অনুভূত হয়। তার পর জানালা দিয়ে ধোঁয়া দেখতে পান তাঁরা।
আতঙ্কে যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। এক যাত্রী আহত হন হুড়োহুড়িতে। অনেকে মোবাইল ফোন দিয়ে পুরো ঘটনা ভিডিও করেন। ১৭৯ জন যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, টেকঅফের সময় প্লেনের বাঁ দিকের চাকার মধ্যে ‘হিট বিল্ডআপ’ বা তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছিল। অর্থাৎ, অবিরাম ব্রেক ব্যবহার বা ঘর্ষণের কারণে তাপমাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে চাকার টায়ারে আগুন ধরে যায়।