একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এই খবরটি প্রথম সামনে আনে ৷ তারাই জানায় লন্ডন, ইয়র্কশায়ার, এসেক্স, পূর্ব মিডল্যান্ডে আফ্রিকার এই প্রথা নিয়মিত হয়ে আসছে ৷ যেই সময় থেকে স্তনের বৃদ্ধি শুরু হয় অর্থাৎ ১১-১২ বছর, তখন থেকেই নিয়ম করে ছোট মেয়েদের বুকে মা বা মা স্থানীয় কেউ ঘষে দেন গরম পাথর ৷ এর ফলে শারীরিকভাবে মেয়েদের খুবই কষ্ট হয়, কিন্তু কিছুই করার থাকে না তাদের ৷ সপ্তাহে একদিন বা ১৫দিনে একদিন এভাবে বুকের ওপর গরম পাথর ঘষে দেন পরিবাররে সদস্যরা যাতে স্তনের টিস্যুগুলি ভেঙে যায় ৷ কোনভাবেই স্তন না বাড়ে ৷
advertisement
আরও পড়ুন পাহাড় তাঁর প্রাণ, সেই পাহাড়াই কাড়ল প্রাণ ! শেষ হল একমাত্র 'বিকিনি ক্লাইম্বারের' যাত্রা...
বিশ্বে লিঙ্গ ভিত্তিক হিংসার যে যে ঘটনা কোনভাবে সামনে আসে না বা অভিযোগ দায়ের হয় না, এই রীতি তার মধ্যে অন্যতম ৷ ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জ এধরণের ঘটনাকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছে ৷ পরিবারের থেকে এই রকম আচরণের ফলে শরীরে তো বটেই মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়, যা মানসিক ভারসাম্যকে টলিয়ে দিতে পারে ৷ আর শারীরিকভাবে ভয়ঙ্কর ইনফেকশন হতে পারে বুকে ৷ সন্তানকে স্তন্যপান করাতেও সক্ষম হন না এই সব মহিলারা ৷ এমনকী স্তন ক্যান্সারও হতে পারে ৷ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও তেমন কোন ব্যবস্থাই নেয়নি লন্ডন পুলিশ ৷