কবে হবে নির্বাচন, তাই নিয়ে একটি জল্পনা শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক মহলে। সে দেশের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, নির্বাচন হতে হতে আগামী বছরের মার্চ মাস। তার আগে পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করবে অন্তর্ববর্তীকালীন সরকার। তবে তত দিন আবেবর্ধনে রাষ্ট্রপতি থাকবেন না। তাঁর কাজ চালানোর তিরিশ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবে সংসদ। সোমবার বিক্রমাসিঙ্ঘের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হবে, সে দেশে জ্বালানির আমদানি ও বিদেশী অভ্যাগতদের আহ্ববানের জন্য কী ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই পরিস্থিতিতে আবার বিরোধী দলের নেতা সাজিদ প্রেমদাসা বলেছেন, তিনি যদি সে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, তা হলে তিনি ডালাস আল্লাহপেরুমাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশে কার্যত নজিরবিহীন, উদ্বোধনের আগেই ব্র্যান্ডিং হয়ে গিয়েছিল শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন
ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিঙ্ঘেকে গো়তবায়া রাজাপক্ষে জানিয়েছেন, তিনি বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। রাষ্ট্রপতি ভবন দখল হওয়ার পর প্রতিবাদীদের সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ফেলে গিয়েছেন মোট ৫০ হাজার ডলার নগদ। তবে সে টাকায় কেউ হাত দেয়নি, সেটি তুলে দেওয়া হবে দেশের হাইকোর্টের কাছে। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁর বিরুদ্ধে মূল যে অভিযোগগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হল ভুল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেই কারণেই দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি একে বারে ভেঙে পড়ে। ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা চিনের ইএক্সআইএম ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেওয়া ও পাশাপাশি চা, রবারের মতো জিনিসের রফতানি বন্ধ করার কারণেই ভেঙে পড়ে সে দেশের অর্থনীতি। তার থেকে হঠাৎ করে বিপুল দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, খাদ্য ও জ্বালানির অভাব দেখা দেয় সে দেশে।
সেই নিয়েই শুরু হয় আন্দোলন। আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে গত সপ্তাহে। যখন লাখো লাখো জনতা ঘিরে ধরে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবন। গেট ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভিতরে ঢুকে যায়। বিপদ বুঝে চম্পট দেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ভবন কার্যত দখল করে নেয় জনতা। সেখানে ঘরে, রান্না ঘরে, সুইমিং পুলে জনতার দখলদারির চিহ্ন স্পষ্ট। তার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে সে দেশের সরকার।