রবিবার নর্থ্যাম্পটনশায়ার পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে চিফ ইনস্পেক্টর পল ক্যাশ জানিয়েছেন, ৬০ জনের বেশি গোয়েন্দা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। সন্দেহভাজন পঙ্কজ লাম্বার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকলে তদন্তকারীদের জানাতে বলা হয়েছে।
advertisement
চিফ ইনস্পেক্টর পল ক্যাশ বলেছেন, “আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে, হর্ষিতা ব্রেলাকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে নর্থ্যাম্পটনশায়ারে তাঁর স্বামী পঙ্কজ লাম্বাই হত্যা করেছেন।” নর্থ্যাম্পটনশায়ার পুলিশ লন্ডনে গাড়ির ডিকি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবতীকে হর্ষিতা ব্রেলা বলে শনাক্ত করেছিল। গত সপ্তাহের শেষ দিকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
পল ক্যাশ আরও বলেন, “আমাদের অনুমান, গাড়িতে করে হর্ষিতার দেহ নর্থ্যাম্পটনশায়ার থেকে ইলফোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। মনে হচ্ছে, পঙ্কজ লাম্বা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন…৬০ জনেরও বেশি গোয়েন্দা এই মামলার তদন্ত করেছেন। সমস্ত সম্ভাবনাই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, তাদের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, সম্পত্তির তল্লাশি, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং এএনপিআর (স্বয়ংক্রিয় নম্বরপ্লেট শনাক্তকরণ) রয়েছে। যে কোনও তথ্যের জন্য আমরা জনসাধারণের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যা আমাদের পুরো ঘটনা বোঝার এবং হর্ষিতার ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।”
আরও পড়ুনঃ শীতে রোজ বাড়িতে আসে এই সবজি, একদিন এভাবে রান্না করুন, খাসির মাংস ভুলে যাবেন নিশ্চিত
বুধবার হর্ষিতার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি ফোন যায় পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে অফিসাররা নর্থ্যাম্পটনশায়ারের করবির স্কেগনেস ওয়াক এলাকায় তাঁর বাড়িতে যান। হর্ষিতার কোনও সাড়াশব্দ নে মেলায় তদন্ত শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ডের ব্রিসবেন রোডে একটি গাড়ির ডিকি থেকে হর্ষিতার দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার লেস্টার রয়্যাল ইনফার্মারিতে ময়নাতদন্ত করা হয়।
ইস্ট মিডল্যান্ডস স্পেশ্যাল অপারেশনস মেজর ক্রাইম ইউনিটের জনি ক্যাম্পবেল বলেন, “হর্ষিতার কাছের কেউই তাঁকে খুন করেছেন বলে আমাদের অনুমান। যাঁরা তাঁকে চিনতেন, তাঁদের কাছে আমাদের অনুরোধ, যদি কারও কাছে প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য থাকে আমাদের জানান। সন্দেহজনক কিছু, তা যত ছোটই হোক না কেন।” এই ঘটনায় জনসাধারণের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।