শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হামলাকারী সেনা জওয়ান তার ঘাঁটি থেকে বন্দুক নিয়ে তার কমান্ডারকে গুলি করে। তারপর আরও দুই সহকর্মীর উপর গুলি চালান তিনি। গাড়ি চালিয়ে কোরাট শহরের টার্মিনাল ২১ মলে এসেতা'ণ্ড'ব চালান। ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করতে করতে সে হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। তবে এই লাইভের কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ করে হয় তাঁর মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে।
advertisement
রবিবার সকালে দীর্ঘ সময় বিনিময়ের পর ওই বন্দুকবাজকে মেরে ফেল নিরাপত্তারক্ষীরা। শনিবার গুলিবর্ষণের পর মলেই আত্মগোপন করে সে। তাকে খুঁজতে গোটা মল ঘিরে তল্লাশি-অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। তারপর গুলি বিনিময়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই মেরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা।
ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, রাজধানী ব্যাঙ্কক থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে, নাখোন রতচসিমা শহরে ২১ নম্বর টার্মিনালের সামনে সেনাবাহিনীর জিপ থেকে নেমে এসে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে সে। এলোপাথাড়ি গুলিতে একটি দোকানের সামনে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। গুলির আওয়াজে আতংকে মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে। পরে সে ঐ মলে লুকিয়ে থাকেন।
একজন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসি থাইকে জানান, বন্দুকবাজ নাম সার্জেন্ট মেজর জাকরাপন্থ থোম্মা, ৩২ বছরের একজন জুলিয়ার সেনা জওয়ান। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মক’র্তারা।