চিন রণংদেহী। ভারতের পাশে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল ব্রাসেলস ফোরামে, মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো বলেন, চিন আগ্রাসী নীতিতে চলছে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ ভারতের কাছে বিপদ। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রাসী নীতিতে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স এবং দক্ষিণ চিন সাগরের নিরাপত্তাও বিপন্ন। তাই চিনা সেনার মোকাবিলায় মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। মার্কিন সেনার সংখ্যা ইউরোপে কমিয়ে এশিয়ায় বাড়ানো হবে। প্রথম ধাপে জার্মানিতে মার্কিন সেনার সংখ্যা ৫২ হাজার থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে। বাস্তব পরিস্থিতি দেখে বিশ্বের নানা প্রান্তে মোতায়েন মার্কিন সেনার পুনর্বিন্যাসের পথে হাঁটবে আমেরিকা ৷
advertisement
করোনা নিয়ে এমনিতেই আমেরিকা-চিনের মধ্যে সংঘাত। এরই মাঝে ১৫ জুন চিন লাদাখে ভারতের উপর হামলা চালায়। এর নিন্দায় সরব হয় আমেরিকা। চিন অবশ্য দাবি করে, ভারত নাকি একতরফা উস্কানি দিয়েছে। এই অভিযোগ প্রথম থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। চিনের তত্ত্ব খারিজ করে মার্কিন গোয়েন্দারাও জানান, পিপলস লিবারেশন আর্মির এক জেনারেলের নির্দেশেই চিনা সেনারা ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালায়। এই প্রেক্ষাপটেই, এবার কয়েক ধাপ এগিয়ে, সরাসরি নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াল ওয়াশিংটন। জানিয়ে দিল, বেজিংয়ের দাদাগিরি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। চিনা সেনার মোকাবিলায় এবার আসরে নামবে মার্কিন সেনা। এতে বেজিংয়ের উপর চাপ অনেকটাই বাড়ল বলে মত কূটনৈতিক মহলের।