লাদাখ সীমান্তের সংঘর্ষের পর থেকেই দেশ উত্তাল। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি পর্যন্ত চলে চীন বিরোধী বিক্ষোভ। রাজ্যেও আছড়ে পড়ে বিক্ষোভের আঁচ। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। দার্জিলিং থেকে দীঘা। সর্বত্রই চিনের বিরুদ্ধে সরব সাধারণ মানুষ। আজ বিক্ষোভে শামিল হল তিব্বেতিয়ান সংগঠনও। চিন বিরোধী স্লোগান দিয়ে পাহাড়ে মিছিল করে তারা। তাদের দাবি, করোনার চাইতে বড় ভাইরাস চিন। শুধুই গ্রাস করার প্রবণতা। এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে। চিনকে পালটা জবাব দিতে হবে। দেশে চিনা সামগ্রী বয়কট করার সিদ্ধান্ত সঠিক। কোনও ভাবেই চিনের সামগ্রী ব্যবহার করা হবে না।
advertisement
দেশজুড়েই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। দার্জিলিংয়ের চক বাজারে মিছিল শেষ হয়। সেখানেই চলে বিক্ষোভ। কয়েকশো আন্দোলনকারী একযোগে চিনের বিরুদ্ধে স্লোগানে সরব হয়। চিনকে কোনো মতেই রেহাই দেওয়া যাবে না, সাফ দাবি তিব্বতি সংগঠনদ্বয়ের। ইয়ুথ কংগ্রেসের সদস্য ছিরিং গ্যালসো ভুটিয়া বলছেন, চিনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বয়কট করতে হবে চিনা পণ্য়।
বিক্ষোভ শেষে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কুশপুতুলও দাহ করা হয়। চিন মুর্দাবাদ স্লোগানও ওঠে। এর আগে শিলিগুড়ি-সহ সমতলে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সমিতি বিক্ষোভ দেখায়। চিনের সামগ্রী বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় হংকং মার্কেট এবং বাগডোগরা এয়ারপোর্ট মার্কেট কমিটির ব্যবসায়ীরা। বাগডোগরায় পোড়ানো হয় চীনের যাবতীয় সামগ্রী।
উল্লেখ্য হংকং মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি আরও বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলছে। মার্কেটের নামই পালটে দিতে উদ্যোগী তারা। আর হংকং মার্কেট নয়। অন্য নামে চেনা যাবে এই মার্কেট।