#নয়াদিল্লি: হাতে পরমাণু বোমা আছে। কিন্তু ডাকতে হচ্ছে মিক্সড মার্শাল আর্টসের দল আর এভারেস্টে চড়তে পটুদের। লাদাখ সীমান্তে ভারতের মোকাবিলায় নয়া কৌশল চিনের।
বছর বারোর দুটো ছেলে খাঁচার মধ্যে লড়ছে। ২০১৭-য় ওই ডকুমেন্টারি বিতর্কের মুখে ফেলে চিনের সিচুয়ান প্রদেশের এনবো ফাইট ক্লাবকে। অনাথ আশ্রম থেকে বাচ্চাদের এনে মিক্সড মার্শাল আর্টস শেখায় এনবো।সেই এনবো ক্লাব থেকেই প্রশিক্ষক নিয়েছে চিনা সেনা। খোলা হয়েছে PLA- র নতুন ৫ মিলিশিয়া।
advertisement
মিক্সড মার্শাল আর্টস ছাড়াও সেখানে থাকছেন মাউন্ট এভারেস্টে অলিম্পিক মশাল বাহীরাও। চিনের সরকারি সেনা মিডিয়া না বললেও সবাই বুঝতে পারছেন সীমান্তে ভারতের সঙ্গে খালি হাতের লড়াইয়ে এঁটে উঠতেই বেজিংয়ের এই নতুন কৌশল।
মিক্সড মার্শাল আর্ট বহু পুরনো এক খেলা।সেই উনিশ শতক থেকেই চিন, জাপানে খুব জনপ্রিয়। ব্রাজিলের জিউ জিৎসু, বক্সিং, কিক বক্সিং, কুস্তি, চিন - জাপানের নানা মার্শাল আর্টস মিলিয়ে এই মিক্সড মার্শাল আর্ট।
খাঁচার ভেতর দুজনকে ঢুকিয়ে দিয়ে লড়াই। ১৯৮০-৯০ পর্যন্ত নিয়মের কোনও বালাই ছিল না। তারপর তৈরি হল আন্তর্জাতিক সংগঠন, সুইডেনে তার দফতর। আন্তর্জাতিক স্তরের লড়াইও হয়। সেই ২০১২ য় সঞ্জয় দত্ত, রাজ কুন্দ্রা রাও মিক্সড মার্শাল আর্টের দল বানিয়েছিলেন।সেই মজা দেওয়া খেলা এবার যুদ্ধের খেলায় নামছে। সুপার কম্পিউটারের যুগে উনিশ শতকের সেই খেলাকে যুদ্ধের কাজে লাগাতে চাইছে পরমাণু শক্তিধর চিন।
অলিম্পিকের সময় যাঁরা এভারেস্টের ওপর দিয়ে মশাল নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদেরও যুদ্ধে নামাচ্ছে শি জিনপিং-এর দেশ।