সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গালওয়ান নদী সংলগ্ন যে এলাকাগুলি থেকে দু'পক্ষ পিছিয়ে আসার বিষয়ে একমত হয়েছিল, সেখান থেকে চিনা সেনা তাদের তাঁবু, বাহিনী এবং যানবাহন সরিয়ে নিয়েছে৷ প্রায় ১ থেকে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে তারা৷ বৈঠকের শর্ত মেনে ভারতীয় সেনাও বেশ কিছুটা পিছিয়ে এসেছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফরের পরই একের পর এক বৈঠকে ফের চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া হয় ভারতের তরফে৷ নিজেদের অনড় অবস্থান বুঝিয়ে দেয় নয়াদিল্লি৷ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফরের সিদ্ধান্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে৷ অন্যদিকে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের দায়িত্বশীল এবং স্পষ্ট অবস্থানকে সমর্থন করেছিল বিশ্বের অধিকাংশ দেশ৷ ফলে আন্তর্জাতিক স্তরেও চাপ বাড়ছিল বেজিংয়ের উপরে৷
advertisement
দু' দেশের বাণিজ্য সম্পর্কেও বড়সড় প্রভাব পড়ছিল৷ ভারত এবং চিনের বাণিজ্য সম্পর্কে যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, বেজিংয়ের উপরে চাপ বাড়াচ্ছিলেন তাঁরাও৷ সবমিলিয়ে অনড় অবস্থান থেকে সরে আসা ছাড়া চিনের কোনও উপায়ও ছিল না৷ সূত্রের খবর, আগাগোড়াই দিল্লি বেজিংকে বুঝিয়ে দিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপোস করা হবে না৷
তবে চিনের সেনাকে এখনই চোখ বুজে ভরসা করছে না ভারতীয় সেনা৷ অন্তত বাহাত্তর ঘণ্টা তাদের গতিবিধি কী থাকে, তা দেখেই পিছু হঠার বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় ভারতীয় বাহিনী৷