TRENDING:

আম্বালার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় তৈরি থাকবে রাফাল, চিনের মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত বায়ুসেনার

Last Updated:

প্রথম দফায় ভারতে আসা রাফালগুলিকে আপাতত পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা এবং হরিয়ানার আম্বালার বিমান ঘাঁটিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Simantik Dowerah
advertisement

#নয়াদিল্লি: কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে আসতে চলেছে রাফাল যুদ্ধবিমান৷ ৩৬টির মধ্যে  প্রথম দফায় ৫টি বিমান আসার কথা৷ চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মধ্যেই রাফালের আগমণ ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷ ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে রাফালের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে স্মরণীয় ঘটনাও হতে চলেছে৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম৷ কারণ ২০১৬ সালে যখন ৫৯০০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ফ্রান্সের থেকে ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি করে ভারত, তখনও কেউ ভাবেনি যে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কয়েক বছরের মধ্যেই এতখানি অবনতি হবে৷

advertisement

প্রথম দফায় ভারতে আসা রাফালগুলিকে আপাতত পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা এবং হরিয়ানার আম্বালার বিমান ঘাঁটিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে রাফালগুলি চলে আসার পরই সেগুলিকে কাজে লাগাতে শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার৷ কারণ এই মুহুর্তে ৪২টি স্কোয়াড্রনের অনুমোদন থাকলেও বায়ুসেনার হাতে তার থেকে ১২টি কম স্কোয়াড্রন রয়েছে৷ ফলে শুধুমাত্র যুদ্ধবিমান বা অস্ত্রশস্ত্র নয়, বাহিনীর সংখ্যার দিক দিয়েও প্রয়োজনের তুলনায় ঘাটতি রয়েছে বায়ুসেনার৷

advertisement

যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেই তার মোকাবিলা করতে রাফালের অন্তর্ভুক্তি করেছে ভারত৷ এবং পাকিস্তানের থেকেও অনেক বেশি করে চিনের মোকাবিলা করার কথা মাথায় রেখেই রাফালের আগমন৷ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ৭৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে৷ আর চিনের সঙ্গে রয়েছে ৩৪৪৮ কিলোমিটারের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা৷ ফলে অল্প সময়ের মধ্যে এই বিস্তীর্ণ এলাকার উপরে নজরদারির জন্য রাফালের জুড়ি মেলা ভার৷ সেকথা মাথায় রেখেই রাফাল স্কোয়াড্রনের জন্য হাসিমারা এবং আম্বালাকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷

advertisement

দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরে হরিয়ানার আম্বালা এয়ার বেসটি বায়ুসেনার ওয়েস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের অধীনে পড়ে৷ গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের সময়ও এই বিমানঘাঁটি থেকেই উড়েছিল মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানগুলি৷ ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের সময়ও আম্বালা বিমানঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল৷

জাগুয়ার যুদ্ধবিমানের ১৪ এবং ৫ নম্বর স্কোয়াড্রন দু'টি এই আম্বালা বিমানঘাঁটিতেই থাকে৷ সেখানে এবার তৃতীয় স্কোয়াড্রন হিসেবে যুক্ত হবে রাফাল৷ ভৌগলিক দিক থেকেও উত্তর-পশ্চিমে পাকিস্তানের সীমান্ত এবং উত্তরপূর্বে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার থেকে প্রায় সমদূরত্বে অবস্থিত আম্বালা এয়ার বেস৷ শত্রুপক্ষের উপর আক্রমণ শানানো হোক অথবা প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিরোধ করা, দ্রুত দুই সীমান্ত এলাকাতেই আম্বালা থেকে সহজে রাফালকে পাঠানো সম্ভব হবে৷ মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আম্বালা বিমানঘাঁটি৷

advertisement

অন্যদিকে পূর্ব ভারতের জন্য রাফালের স্কোয়াড্রন রাখার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে হাসিমারা বিমানঘাঁটিকে৷ হাসিমারার এই বিমানঘাঁটিটি শিলংয়ের ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের অধীনে পড়ে৷ হাসিমারাকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ উত্তর- পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সংযোগকারী ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ 'চিকেনস নেক' বা শিলিগুড়ি করিডরকে রক্ষা করা ৷ শিলিগুড়ি করিডরের উত্তর দিকে নেপাল এবং দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাংলাদেশ৷ এর পাশাপাশি চিনাদের থেকে সিকিমের নাথুলা পাসকে রক্ষা করার দায়িত্বও রয়েছে এই হাসিমারা বিমানঘাঁটির উপরে৷ যুদ্ধ বাঁধলে সেক্ষেত্রে গ্যাংটক, বিন্নাগুড়ি এবং কালিম্পংয়ে সেনার তিনটি মাউন্টেন ডিভিশনকে হাসিমারা বিমানঘাঁটি থেকে বায়ুসেনা কী ধরনের সাহায্য করতে পারে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে৷ ২০১৭ সালে ভূটানের জমিতে জোর করে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন৷ যা নিয়ে ডোকলামে ভারত এবং চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই ডোকলামের নজরদারির দায়িত্বও রয়েছে এই হাসিমারা বিমানঘাঁটির উপরে৷

View Survey

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রাফালের মতো পূর্ণাঙ্গ এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান হাতে এলে নিঃসন্দেহে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে৷ এখন সঠিক রণকৌশল তৈরি করে রাফালকে দেশের নিরাপত্তার কাজে লাগানোই বায়ুসেনার লক্ষ্য৷

বাংলা খবর/ খবর/ভারত-চিন/
আম্বালার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় তৈরি থাকবে রাফাল, চিনের মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত বায়ুসেনার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল