বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অ্যাকিউজিশন কাউন্সিলের (ডিএসি) একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরে ডিএসি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার বহুদিনের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে মিগ কিনতে এবং আপগ্রেডেশনে খরচ হবে ৭৪১৮ কোটি এবং হ্যালের কাছ থেকে Su-30 MKI কিনতে 10,730 কোটি খরচ হবে।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, ডিএসি এদিন স্থলসেনাকেও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্য ৩৮,৯০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এ ছাড়াও ক্ষেপনাস্ত্রের শক্তি বাড়াতে ১০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ২৪৮ ‘অস্ত্র’ ক্ষেপনাস্ত্র কেনারও অনুমতি দিয়েছে ডিএসি।
ডিএসি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের নতুন এবং পুরনো মিসাইলের সংখ্যা বাড়ানোয় তিন ধরনের বাহিনীরই শক্তি বৃদ্ধি পাবে।’ ডিএসি-র তরফে বলা হয়েছে, এ বারে দেশীয় সংস্থার কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেনায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। তাতে দেশীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে খবর, অস্ত্র কেনার পাশাপাশি লাদাখে LAC বরাবর নজরদারিও বাড়িয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। নতুন অস্ত্রশস্ত্র আসার পরে বায়ুসেনার ওই নজরদারি আরও কড়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
SHALINI DATTA