একসময় মিষ্টির ব্যবসা করলেও এখন শিবপ্রসাদের ছোট ভাই সেই ব্যবসা চালান, তবে মিষ্টির পাক ভুলে যাননি শিবপ্রসাদ । ৫০ পয়সার ফুলুরি আজ তা এসে দাঁড়িয়েছে এক টাকায়। মূলত কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় ভালই চলে তার তেলেভাজার দোকান। আর এই ফুলুরি খেতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করেন তাদের দোকানে। কেউ পনেরোটা কেউ কুড়িটা করে ফুলুরি কিনে নিয়ে যান বাড়িতে। তবে করোনার পর থেকে দাম বাড়ে আলুর চপের। আগে ছিল দু টাকা, এখন সেটি পরিবর্তন হয়ে ৩ টাকা হয়েছে , স্বাদ রয়েছে একই। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি করেন শিবপ্রসাদ। আর তা দিয়েই সংসার চালান দু’জনে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাইকে লাদাখ যেতে চান ? তেল থেকে খাওয়া-থাকা খরচ কত? জানুন
এক ক্রেতা রঞ্জন মুখার্জী বলেন , এক টাকায় ফুলুরি সারা হুগলি জেলার কোথাও পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয় না ।কয়েক বছর ধরে তাদের দোকানে চপ আর ফুলুরি খাচ্ছি। আগে দু টাকা করে চপের দাম ছিল এখন সেটা ৩ টাকা হয়েছে, ফুলুরি ৫০ পয়সা ছিল এখন এক টাকা হয়েছে। স্বাদেও অতুলনীয়। একবার খেলে আবার খেতে ইচ্ছা করবে। দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে চপ নিতে হয়। দু টাকার মুড়ি আর তিন টাকার চপ কিনলে ৫ টাকায় পেট ভর্তি। অনেকে আবার আগে অর্ডার দিয়ে যায়। কেউ কুড়িটা ত্রিশটা করে তেলেভাজা নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
সবশেষে বৃদ্ধ দম্পতি শিবপ্রসাদ ও বীণাদেবী বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেভাবে চপ বা ফুলুরির দাম বাড়ায়নি। ৫০ পয়সায় ফুলুরি বিক্রি শুরু করেছিলাম। এখন সেটা পরিবর্তন হয়ে এক টাকা হয়েছে ।দোকানে প্রতিদিনই ভিড় থাকে, পাঁচ টাকায় চপ মুড়ি খেলে পেট ভরে যাবে। যদিও এতে লাভ খুব একটা বেশি হয় না। তবে কোনরকমে দুজনের সংসার চলে যায়। ঝড় বৃষ্টি হলে সেদিন একটুখানি বাজার মন্দা যায়। অন্যান্য দিনগুলোতে দোকানে ভিড় থাকে।
রাহী হালদার