এই সরষে পোড়া উৎসব দেখতে কয়েক হাজার ভক্ত ভিড় করেছিলেন মাহেশে ‘মাসির বাড়ি’ মন্দিরের সামনে। সেখানে জগন্নাথ দেবকে মা লক্ষ্মী মশাল জ্বালিয়ে সর্ষে পোড়া দিতে যান এবং সেই প্রসাদী সরষে নেওয়ার জন্যই ভক্তদের মধ্যে ভিড় জমে যায়। অগণিতক ভক্ত সমাগমে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের মাসির বাড়িতে এই বিশেষ উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে একসঙ্গে।
advertisement
পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা হয় হুগলির মাহেশে। আর এই মাহেশের রথকে ঘিরেই রয়েছে নানা ইতিহাস। হুগলি জিটি রোডের ধারে ৬২৯ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আজও উজ্জ্বল মাহেশের মন্দির।
আরও পড়ুন : এই জংলি গাছই পোকা খাওয়া দাঁতব্যথার ওষুধ! জব্দ মাড়ি থেকে ঝরা রক্ত! কর্পূরের মতো উবে যাবে মুখের পচা গন্ধ, ঘা
প্রতি বছরের মতো এ বারও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং মহা সমারহের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মাহেশের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব। জনশ্রুতি, সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী পুরীর মন্দিরে গিয়েছিলেন জগন্নাথ দর্শনে।সেখানে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। মনের দুঃখে তিনি হুগলির মাহেশে ফিরে আসেন। গঙ্গার পাড়ে তাঁর কুটির ছিল। স্বপ্নাদেশ পান গঙ্গায় ভেসে আসা কাঠ দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে। ছয় শতকের বেশি সময় ধরে মাহেশে পুজিত হয়ে আসছেন জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রাদেবী। যেখানে পরে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। মাহেশ মন্দিরে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথদেবকে।