মাহেশের রথযাত্রা উৎসব ৬২৭ বছরের পুরাতন। আর মাহেশের রথের বয়স প্রায় দেড়শো বছর। ব্রিটিশ কোম্পানির লোহার তৈরি এই রথের সঙ্গে একটি কথিত কাহিনীও রয়েছে। বর্তমানের লোহার রথের জায়গায় আগে ছিল কাঠের রথ। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারণে কয়েকবার সেই রথ নষ্ট হয়েছিল। এর থেকে স্থায়ী সমাধান খোঁজেন শ্যামবাজারের বসু পরিবার। তৎকালীন হুগলির দেওয়ান ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র বসু। তিনি কুড়ি হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরি করিয়েছিলেন এই রথটি। ব্রিটিশ মার্টিন বার্ন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই রথ তৈরির জন্য। রথের সামনে থাকে দুটি সাদা ও নীল রঙের তামার তৈরি ঘোড়া। সেটি তৈরি করে দিয়েছিল জয় ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
advertisement
রথের মধ্যে রয়েছে ১২ টি বড় বড় লোহার চাকা। দুটি তামার তৈরি অশ্ব। একজন তামার তৈরি রথের সারথি। রথের মধ্যে আঁকা থাকে জগন্নাথ দেবের ৯৬ জোড়া চোখ। রথের একদম চতুর্থ তলায় অর্থাৎ শীর্ষে বিরাজ করেন স্বয়ং জগন্নাথ দেব। তার নিচের তলাগুলিকে রামলীলার চিত্র কৃষ্ণ লীলার চিত্র চৈতন্যলীলার চিত্রে সাজিয়ে তোলা হয়।
আরও পড়ুন : এ বছর রথযাত্রা কবে? কত ক্ষণ থাকবে দ্বিতীয়া তিথি? জানুন সেই পুণ্যতিথির শুভক্ষণ
এই বিষয়ে মহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন , ‘‘ মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরকে এই রথটি প্রদান করেছিলেন বর্তমান শ্যামবাজারের বসু পরিবার। তাঁদেরই দায়িত্বে থাকে এই রথটি। রথটিকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য অনেক চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু রথের চাকা কোথায় থামবে তা নির্ধারণ করেন একমাত্র জগন্নাথ দেব। তাই প্রতিবছর এক জায়গায় থাকে না মাহেশের রথ।’’