‘থানা দ্য গেরোটি’ নামের এই ফরাসি থানা ভারতের স্বাধীনতার পরেও চালু ছিল। ১৯৫০ সালে ফরাসিরা যখন চন্দননগর ছেড়ে চলে যায়, তার পর বন্ধ হয়ে যায় এই ফরাসি পুলিশ থানাটিও। জি টি রোড থেকে দাঁড়িয়েই স্পষ্ট দেখা যায় পুরাতন এই বাড়িটির গায়ে বড় বড় করে লেখা রয়েছে থানা দ্য গেরোটি। ফরাসিরা গৌরহাটিতে গেরোটি উচ্চারণ করতেন সেই থেকেই পুলিশ থানারও নাম হয় গেরোটি। স্বাধীনতার পরেও প্রায় সাত বছর চালু ছিল এই ফরাসি থানা। তবে আজ তা অতীত!
advertisement
এমনই ঘটনায় খোভ প্রকাশ করেছেন চন্দননগর শহরের বিশিষ্ট মানুষজন। এই বিষয়ে চন্দননগরের বিদেশিনী বৌমা নেলিনা মণ্ডল আক্ষেপ করে জানিয়েছেন সমস্ত ইতিহাসের নিদর্শন আজ ধ্বংসের পথে। একদিকে যখন পর্যটন গড়ে উঠছে, সেখানে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা দেখতে চাইছেন এই ধরনের নিদর্শন। কিন্তু বেশিরভাগ নিদর্শন আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। তার মধ্যে অন্যতম এই প্রাচীন থানা। তিনি বলছেন, যা কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে সেগুলোকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তবে যা বেঁচে আছে সেগুলিকে একটু সংরক্ষণ করলে সকলেই এগুলো দেখতে পায়।
আরও পড়ুন : এই লালচে বেগুনি পাতার আজব ক্ষমতা! হৃদযন্ত্র-কিডনি-লিভারে কাজ জাদুর মতো! কয়েক দিনের মধ্যেই বড় পরিবর্তন!
ফরাসিদের উপনিবেশ থাকাকালীন চন্দননগর শহরের মোট পাঁচ জায়গায় তারা পুলিশ থানা করেছিল। তার মধ্যে একটি হল জি টি রোডের ধারে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই প্রাচীন থানা। তবে অন্য একটি থানা রয়েছে, যেটি এখনও পুলিশরা তাদের ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। সেটি হল গোন্দলপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি। যদি ওই পুলিশ ফাঁড়ি বর্তমানে অনেকটাই নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে, তবে থানার বাইরে লাগানো ফরাসি ফলক এখনও দেখতে পাওয়া যায়।