মোটা মাইনের চাকরির কথা না ভেবে অল্প বয়স থেকে ব্যবসার কথা ভাবেন বিকানেরের অনেক যুবকই। পারিবারিক ব্যবসায় সহযোগিতা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন তাঁরা। এমনই এক তরুণ শিব কাছাওয়া সেই কোন ছোটবেলায় শুরু করেছিলেন ব্যবসা। তাতেই তিনি দারুণ সফল।
খুব অল্প বয়স থেকেই শিব বাবার সঙ্গে পরোটা বানানো শুরু করেন। তখন তিনি সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণী পাশ করেছেন। আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু পারিবারিক অবস্থার কথা ভেবে বাবার সঙ্গে পরোটা বিক্রি করতে শুরু করেন। এখন সেই পরোটা বিক্রি করেই তিনি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। শিবের পরোটা এমনই বিখ্যাত যে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এর স্বাদের টানে এসে উপস্থিত হন।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো বাসের গায়ে চালকের দরজায় কেন পাইলট লেখা থাকে?
শিব জানান, বিকানেরের চায়পট্টিতে তাঁর একটি পরোটার দোকান রয়েছে। এখানে তিনি নিজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরোটা তৈরি করেন। তাঁদের দোকানের বিশেষত্বই হচ্ছে মোঠ ডালের পরোটা। বিকানেরে আরও কোথাও মোঠ ডালের পরোটা পাওয়া যায় না। শিব তাঁর দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০টি মোঠ ডালের পরোটা তৈরি করেন। এই একটি পরোটার ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম। প্রতিটি পরোটার দাম পড়ে ৩০ টাকা। এই পরোটার সঙ্গে একটি তরকারিও বিনামূল্যে দেন শিব, সঙ্গে থাকে লঙ্কার আচার। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে পরোটা খেতে আসেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করতে পারেননি যে বলিউড তারকারা, তালিকা দেখলে মাথা ঘুরে যাবে!
শিবকুমার কাছাওয়া জানান, মোঠ ডালের তৈরি ‘স্পেশ্যাল পরোটা’ ছাড়া আলু, পনির, কড়াইশুঁটি, বেসনের পরোটাও তৈরি করেন তিনি। থাকে প্লেন পরোটা, লাচ্ছা পরোটা ইত্যাদি।
পিতা-পুত্র জুটি
শিব জানান, তিনি গত ১৭ বছর ধরে পরোটা তৈরি করছেন। বাবার সঙ্গে কাজ করছেন সেই ছোটবেলা থেকে। তাঁদের দোকানের বয়স প্রায় ৪০ বছর। শিব বলেন, ‘এমন একটা সময় ছিল যখন পরিবারে আর্থিক অনটন লেগেই থাকত। তারপর বাবা এই কাজ শুরু করেন। এখন আমি আর আমার ছোট ভাই কাজ সামলাতে চেষ্টা করছি।’ শিব ও তাঁর ভাইয়ের চেষ্টায় আপাতত ফিরেছে তাঁদের পরিবারের সঙ্গতি।
