TRENDING:

মল্ল রাজাদের থেকে পাওয়া জমিদারিতেই শুরু হয়েছিল পুজো, ৩৫০ পেরিয়েছে পুজোর বয়স

Last Updated:

মেলা বসবে না। পুতুল নাচও হবে না। তবুও রোশনাইয়ে মাতবে মণ্ডল বাড়ি। রোশনাই ঐতিহ্যের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার হদল-নারায়ণপুরে মণ্ডলবাড়ির পুজোর বয়স ৩৫০ ৷ পুজো এলেই এখনও একজোট হন গ্রামের মানুষ। এখনও পুজোয় তাল মিলিয়ে বাজে বিভিন্ন ধরনের বাজনা।
advertisement

আজ থেকে ৩৫০ বছর আগের কথা। বাংলায় তখন মল্ল রাজাদের শাসন।

বর্ধমানে নীলপুর থেকে ভাগ্যের খোঁজে বেড়িয়েছিলেন মুচিরাম ঘোষ। ঘুরতে ঘুরতে বাঁকুড়ার রামপুরে এসেছিলেন মুচিরাম। আলাপ হয়েছিল প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ শুভঙ্করের সঙ্গে।

এই সেই শুভঙ্কর, যিনি লোকতোষ ছন্দে একসময় গ্রাম বাংলায় প্রচার করেছিলেন গণিতের। পরবর্তী সময়ে যা শুভঙ্করী গণিত বলেই পরিচিতি পায়।

advertisement

সেই শুভঙ্করই মুচিরামকে নিয়ে যায় মল্ল রাজাদের দরবারে। বার্ষিক খাজনার বিনিময়ে দামোদরের উপনদী বোদাইয়ের পাশে বিশাল জমিদারি সত্ত্ব দেওয়া হয় মুচিরামকে। সেইসময় তাঁকে মণ্ডল উপাধি দেওয়া হয়। এই সময়ই হদল-নারায়ণপুর গ্রামের মাঝেই বিশাল এই জমিদার বাড়িতে পুজো শুরু করেন মুচিরাম।

জমিদারি নেই। শরিকের জটলায় আজ অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছে। গায়ে লেগেছে আধুনিকতার ছাপ। তবুও পুজো আসলে এই মণ্ডলদের বাড়ির দিকেই তাকিয়ে থাকে গ্রাম। কারণ, চারদিন নানা অনুষ্ঠান।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'রনা' ডাকাতের নাম থেকেই হয় আজকের 'রানাঘাট'! আগে নাম কি ছিল জানেন? রনা ডাকাতের পরিচয় জানুন
আরও দেখুন

আর কয়েকদিন পর, এই দালানেই বেজে উঠবে সানাইয়ের সুর। মেলা বসবে না। পুতুল নাচও হবে না। তবুও রোশনাইয়ে মাতবে মণ্ডল বাড়ি। রোশনাই ঐতিহ্যের। যা আজও অটুট হদল-নারায়ণপুরে।

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
মল্ল রাজাদের থেকে পাওয়া জমিদারিতেই শুরু হয়েছিল পুজো, ৩৫০ পেরিয়েছে পুজোর বয়স