আজ থেকে ৩৫০ বছর আগের কথা। বাংলায় তখন মল্ল রাজাদের শাসন।
বর্ধমানে নীলপুর থেকে ভাগ্যের খোঁজে বেড়িয়েছিলেন মুচিরাম ঘোষ। ঘুরতে ঘুরতে বাঁকুড়ার রামপুরে এসেছিলেন মুচিরাম। আলাপ হয়েছিল প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ শুভঙ্করের সঙ্গে।
এই সেই শুভঙ্কর, যিনি লোকতোষ ছন্দে একসময় গ্রাম বাংলায় প্রচার করেছিলেন গণিতের। পরবর্তী সময়ে যা শুভঙ্করী গণিত বলেই পরিচিতি পায়।
advertisement
সেই শুভঙ্করই মুচিরামকে নিয়ে যায় মল্ল রাজাদের দরবারে। বার্ষিক খাজনার বিনিময়ে দামোদরের উপনদী বোদাইয়ের পাশে বিশাল জমিদারি সত্ত্ব দেওয়া হয় মুচিরামকে। সেইসময় তাঁকে মণ্ডল উপাধি দেওয়া হয়। এই সময়ই হদল-নারায়ণপুর গ্রামের মাঝেই বিশাল এই জমিদার বাড়িতে পুজো শুরু করেন মুচিরাম।
জমিদারি নেই। শরিকের জটলায় আজ অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছে। গায়ে লেগেছে আধুনিকতার ছাপ। তবুও পুজো আসলে এই মণ্ডলদের বাড়ির দিকেই তাকিয়ে থাকে গ্রাম। কারণ, চারদিন নানা অনুষ্ঠান।
আর কয়েকদিন পর, এই দালানেই বেজে উঠবে সানাইয়ের সুর। মেলা বসবে না। পুতুল নাচও হবে না। তবুও রোশনাইয়ে মাতবে মণ্ডল বাড়ি। রোশনাই ঐতিহ্যের। যা আজও অটুট হদল-নারায়ণপুরে।
