সারা বিশ্বজুড়ে যৌনতা নিয়ে যে কত রকম নিয়ম রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না! বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উপজাতিদের সেই প্রাচীন রীতি নীতি সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতোই ৷ স্বমেহন উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে চুলচেঁরা বিশ্লেষণ প্রায়শই সংবাদপত্র কিংবা ম্যাগাজিনে চোখ রাখলেই পাওয়া যায় ৷ কিন্তু সেই স্বমেহনের জন্যই একটা গোটা উৎসবই নাকি বরাদ্দ ছিল প্রাচীন মিশরে ৷
advertisement
প্রাচীন মিশরীয়রা মনে করতেন, নীল নদের জল ভালো করে বয়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ হল মাস্টারবেশন বা স্বমেহন। আর তাই খোলা মাঠেই প্রাচীন মিশরীয়রা নীল নদে নিজেদের বীর্যদান করতেন। আর তা রীতিমতো উত্সব করে পালিত হত। মিশরীয়রা মনে করতেন দেবতা অটাম স্বমেহনের মাধ্যমে বিশ্বের সৃষ্টি করেছিলেন ৷ আর নীল নদীও এ ভাবেই সৃষ্টি ৷ আর সেই কারণে তখনকার ফারাওদের নীলনদে বছরের একটি বিশেষ সময়ে হস্তমৈথুন করাটা বাধ্যতামূলক ছিল । সেই সময় দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে ফারাওরা নীলনদের ধারে উপস্থিত হতেন ৷ বিভিন্নরকমের অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজোপাঠের আয়োজন করা হত ৷ নীলনদের ধারে হাজির হয়ে নিজেদের সমস্ত পোশাক-পরিচ্ছদ খুলে ফেলতেন ফারাওরা ৷
আর তখনই দেবতা অটামকে খুশি করতে নীলনদে বীর্যদান করতেন তাঁরা ৷ এতে নীলনদের জলধারা বজায় থাকবে এই বিশ্বাসের পাশাপাশি তাঁরা মনে করতেন এতে চাষ-আবাদও খুব ভাল হবে ৷ মিশরের বিভিন্ন শিলালিপিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ এছাড়া বিভিন্ন প্রাচীন ছবিতেও এর উল্লেখ নজরে আসে ৷ পিরামিডের গায়েও এই নিয়ে ছবি দেখতে পাওয়া যায় ৷ যা নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই ৷
তবে মিশরের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, প্রাচীন মিশরে পুরুষের স্বমেহনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হত ৷ কেননা তাঁরা বিশ্বাস পোষণ করতেন যে, মিশরীয় দেবতা অটাম স্বমেহন করার নিরিখেই নীলনদের জলস্রোত চালিত হয় ৷ তবে এই প্রথা এখন অবলুপ্ত ৷
