TRENDING:

'জীবনে কি পাব না, ভুলেছি সে ভাবনা', এ গান যেন সৌমিত্রকে ভেবেই লেখা হয়েছিল !

Last Updated:

'তিন ভুবনের পারে' ছবিতে সৌমিত্র এক ছক ভাঙা অভিনয় দেখে সে সময় সিনেমা সমালোচকরাও চমকে ছিলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: জীবনে কি পাবো না, ভুলেছি সে ভাবনা... আজও শাড়ি পরে রাস্তায় হাঁটতে গেলে যুবতী বাঙালি মন, পিঁছন ফিরে এই গানটাই শুনতে চায়। মনে হয়, সেই অসম্ভব মিষ্টি ট্যুইস্টে, একদল লোফার ছেলের মাঝ খান থেকে নেচে উঠছেন সৌমিত্র। যে সৌমিত্র অপুর চরিত্র দিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করছেন, তিনিই আবার 'তিন ভুবনের পারে' ছবিতে রাস্তার লোফার ছেলে। আবার তিনিই ফেলুদা।
advertisement

১৯৬৯-এ কলকাতা এক অন্য ছবির মুখ দেখেছিল আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। বাংলার সেই সময়কার সংস্কৃতি। সেই সঙ্গে একদল লোফার ছেলে। তাঁদের আনন্দ, তাঁদের লড়াই, তাঁদের যুদ্ধ ফুটে উঠেছিল পর্দায়। এই ছবিতে তনুজা ও সৌমিত্র যেন চীরকালের স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবেন।

সৌমিত্রর অভিনয়ের এই অসম্ভব দক্ষতার জন্যই হয়ত তিনি অনায়াসে সব চরিত্রেই মানানসই ছিলেন। সৌমিত্র বলেছিলেন, 'এই ছবিতে সুধীন দাশগুপ্ত ও মান্না দে ছিলেন সব থেকে বড় পাওনা। এ ছবির গান অন্যমাত্রা যোগ করেছিল। তাঁরা না থাকলে এ ছবি স্বার্থক হত না। যেভাবে জটায়ু ছাড়া ফেলুদা নয়। এই ছবিতেও গান ছাড়া সফলতা আসত না। আর মান্না দের অবদান তারজন্য অনেকখানি।' সৌমিত্র তিন ভুবনের পারে-নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, " চরিত্রটি ছিল বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত। তখনকার সময় আমাদের সবার জানাশোনার মধ্যেই এমন দু একজন ছিল, যারা একটু খাপছাড়া, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। আর আমি তাদের স্টাইল, অঙ্গভঙ্গী অনুকরণের চেষ্টাই করেছিলাম চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে।" সৌমিত্র সে সময় নিয়মিত খাম খেয়ালী মানুষের সঙ্গে মিশতেন।

advertisement

নিজেও নানা রকম অ্যাডভেঞ্চার করতেন। এমনকি রাস্তায় পাড়ার রকে যে ছেলেদের এক অন্য জীবন আছে তাও খুঁজে বার করেছিলেন। আর সেই জন্যই বোধ হয় আজও 'সামনে যা দেখি আসল কি নকল সোনা'র ধাঁধাঁয় মানুষ আজও রয়ে গেছে।

এই ছবিতে মন্টু ওরফে সৌমিত্র ও তনুজার ভালোবাসার সংকল্প নাড়া দিয়ে যায় মনে। 'হয়ত তোমারই জন্যে...' গানটি যেন ঠিক এই জুটির জন্যই তৈরি হয়েছিল। 'তিন ভুবনের পারে' ছবিতে সৌমিত্র এক ছক ভাঙা অভিনয় দেখে সে সময় সিনেমা সমালোচকরাও চমকে ছিলেন। একটি সমালোচনায় লেখা হয়েছে, "সৌমিত্র যেন সত্যজিতের হাতে গড়া অতুলনীয় সৃষ্টি।" এই ছবিতে যেভাবে তিনি নিজেকে ভেঙে ছিলেন তা একজন দক্ষ অভিনেতার পক্ষেই সম্ভব। যদিও পরে এমন অনেক ছবিই সৌমিত্র ঝুলিতে জমা হয়েছে, যেখানে মানুষ বারে বারে শুধু অবাকই হয়েছেন সৌমিত্রর অভিনয়ে। তনুজা বাংলা ছবিতে জনপ্রিয় মুখ ছিলেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘায় তো অনেকবার এসেছেন! কিন্তু জানেন কি দিঘায় প্রথম খাবারের হোটেল কোনটি বলতে পারলে আপনি
আরও দেখুন

হিন্দি ছবির পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও তাঁকে সমান ভাবে দেখা যেত। সৌমিত্রর সঙ্গে তনুজার কেমিষ্ট্রি এর পরেও দেখা গিয়েছে। সৌমিত্রর সঙ্গে এক মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। শ্যুটিং ফ্লোরে নানা রকম মজার কথা ও সাহিত্য আলোচনায় ভরিয়ে রাখতেন সৌমিত্র। তনুজা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, " তিন ভুবনের পারে-ছবিতে শ্যুটিং করার সময় সৌমিত্রর চোখে এক নতুন কলকাতাকে দেখেছিলাম আমি।" এই ছবি তো শহর কলকাতারই গল্প বলে। আর বলে প্রেমের গল্প। 'কে তুমি নন্দিনী'র মায়ায় আজও পড়ে রয়েছে বাঙালি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
'জীবনে কি পাব না, ভুলেছি সে ভাবনা', এ গান যেন সৌমিত্রকে ভেবেই লেখা হয়েছিল !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল