পায়ে পায়ে এ ভাবেই কেটে গেল তিন দশক। শরীর ভেঙেছে। চোখের জ্যোতি আজ ক্ষীণ। তবুও তাঁর হাতে এখনও নতুন প্রাণ পান উমা।
সুমতি পাল। সত্তর পেরিয়েছে তাঁর বয়স। মৃৎ শিল্পী স্বামী গোপাল পালের তৈরি এই কারখানা আজও তাঁর সবকিছু। সাইতিরিশ বছর আগে এমন-ই এক পুজোয় প্রয়াত হয়েছিলেন গোপাল। ক্যানসার কেড়ে নিয়েছিল তাঁর জীবন। ভয় পাননি সুমতি। পিছিয়ে আসেননি। বরং জলপাইগুড়ির ভাটিয়া বিল্ডিং অঞ্চলের প্রতিমা তৈরির এই কারখানাকে ধরেছিলেন শক্ত হাতেই।
advertisement
আগে অনেক ঠাকুর গড়তেন। ইদানিং আর পারেন না। তাই আটটার বেশি আর বায়না নেন না। সুমতির মন খারাপ, বাজার আর আগের মতো নেই।
চার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বড় করছেন এক ছেলেরা। আজ নাতি-নাতনিরাই সুমতির লাঠি। পুজো আসলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে দিদিমাকে সাহায্যে। যুবকের নাম তন্ময়। দিদিমার কাছেই কাজ শিখেছেন।
পুজো, মানে নতুন উন্মাদনা। পুজো মানে নতুন কিছু আবিষ্কার। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সত্তর বছরের সুমতি পাল। তিনিই যেন আজ দূর গাঁয়ের দুগগা।
