জাতিভেদ এবং পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে আজীবন লড়ে গিয়েছেন সাবিত্রী। বারবার বলেছেন যে এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে হবে। তিনি শুধু একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন না। ছিলেন একজন কবিও। তাঁর লেখায় বারবার ফুটে উঠেছে বর্ণভেদ, জাতিভেদ এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অনেক কথা।
সাবিত্রীবাই ব্রত নিয়েছিলেন যে তিনি আজীবন মেয়েদের অধিকার এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করবেন। আর তিনি তা করেও ছিলেন। আজও তাঁর সহস্র সূর্যের মতো উজ্জ্বল জীবন অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রানিতকরে। ৬৬ বছর বয়সে বাবনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাবিত্রী।
advertisement
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে এই চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক
১) জ্যোতিরাও ফুলের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় ১০ বছরের সাবিত্রীর।
২) ফুলে দম্পতি যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাতে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আপত্তি আসছিল। সাবিত্রী সে সবে কান না দিয়ে পড়াশোনায় মন দিলেন। ভারতের প্রথম মেয়েদের স্কুল তৈরি হল। এর পর এরকম আরও ১৮টি স্কুল তৈরি হয়।
৩) ১৮৪৮ সালে মাত্র ৯ জন ছাত্রী নিয়ে শুরু হয় মেয়েদের স্কুল। সাবিত্রী সেখানে পড়াতেন। মেধাবী ছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হত যাতে তাঁরা মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়।
৪) সাতারা জেলার নয়গাওতে এক কৃষক পরিবারে জন্ম সাবিত্রীর।
৫) সাবিত্রী ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি রুখে দাঁড়ান বিধবাদের ন্যাড়া করে দেওয়ার প্রথার বিরুদ্ধে।
৬) ১৯৯৮ সালে সাবিত্রীবাই ফুলেকে সম্মান জানিয়ে একটি স্ট্যাম্প প্রকাশিত হয়।
৭) যে সব ধর্ষিতা মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন তাঁদের সন্তানের জন্ম যাতে ভালো ভাবে হয় সেইজন্য একটি কেয়ার হাব খোলেন সাবিত্রী।
৮) সাবিত্রীর দত্তক পুত্র যশবন্ত ১৮৯৭ সালে একটি চিকিৎসালয় খোলেন, যেখানে প্লেগ আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হত।প্লেগ রোগীদের সেবা করতে গিয়েই এই রোগে আক্রান্ত হন সাবিত্রী।
৯) সমাজে যাঁদের অচ্ছুৎ বলে গণ্য করা হয় তাঁদের জন্য নিজের বাড়িতে একটি কুয়ো স্থাপন করেন সাবিত্রী।
১০) ফুলে দম্পতি গড়ে তোলেন সত্যসাধক সমাজ। যেখানে কোনও পুরোহিত ও পণ প্রথা ছাড়া বিভিন্ন বর্ণের বিবাহ সাধন হত।