TRENDING:

Rituparno Ghosh and Mir: ‘ঋতুদা’র ওই একটা ‘আয়’ বলে ডাক বহু ঠান্ডা লড়াই গলিয়ে দেবে’

Last Updated:

ঋতুপর্ণর সঙ্গে মীরের প্রথম সাক্ষাৎ ইন্দ্রাণী পার্কে তাঁর বাড়িতে ৷ আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন বন্ধু সুদীপ্তা চক্রবর্তী ৷ প্রথম দেখার আন্তরিক, বন্ধুবৎসল ‘ঋতুদা’-র ভাবমূর্তি তাঁর কাছে এখনও অক্ষুণ্ণ ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা : ‘ঋতুদা’, আসব?’ মেক আপ রুমের দরজা আলতো ঠেলে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি ৷ দীর্ঘ দেড় বছর কোনও কথা হয়নি ৷ হোয়াটসঅ্যাপপূর্ব সে যুগে ফোন, এসএমএস বন্ধ ছিল দু’ তরফেই ৷ মনের মধ্যে কিছুটা ভয়, আশঙ্কা নিয়েই মেকআপ রুমের দরজার ওপারে দাঁড়িয়েছিলেন মীর ৷ তাঁকে প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন পরিচালক এক আন্তরিক উদাত্ত ‘আয়’ বলে ৷ মীরের মনে হয়েছিল, এই একটা ‘আয়’ শব্দ বহু ঠান্ডা লড়াইয়ের বরফ গলিয়ে দিতে পারে ৷ স্বভাবরসিকতায় মীরের সংযোজন, রুশ মার্কিন শীতল যুদ্ধও বন্ধ করার ক্ষমতা ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষের ৷ পরিচালকের চলে যাওয়ার পরের বছর তাঁকে নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়েছিলেন সঞ্চালক ৷ সেই ভিডিয়ো তিনি আবার শেয়ার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে ৷
advertisement

এক মাথা কোঁকড়া চুলের পরিচালক ঋতুপর্ণর সঙ্গে মীরের প্রথম সাক্ষাৎ ইন্দ্রাণী পার্কে তাঁর বাড়িতে ৷ আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন বন্ধু সুদীপ্তা চক্রবর্তী ৷ প্রথম দেখার আন্তরিক, বন্ধুবৎসল ‘ঋতুদা’-র ভাবমূর্তি তাঁর কাছে এখনও অক্ষুণ্ণ ৷

তাঁর মতো গল্প বলিয়ে বিরল ৷ কোনও আঁতলেমি না করে নিজের বক্তব্য পেশ করার মুনসিয়ানা ছিল তাঁর সহজাত ৷ প্রয়াত পরিচালককে নিয়ে এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন মীর ৷

advertisement

একাধিকবার কথা হয়েছিল দু’জনের ৷ সেই স্মৃতি অনুরণিত হয় তাঁর মনে ৷ ঋতুপর্ণ ঘোষ একবার কথায় কথায় বলেছিলেন অপর্ণা সেনের সঙ্গে তাঁর টুকরো কথার কোলাজ ৷ অপর্ণা বলেছিলেন, ‘তুই তো মানিক কাকুকে টুকেছিস’৷ শুনে ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, ‘ছেলেদের বাবার মতো দেখতে হয়’৷ এই উত্তর গেঁথে গিয়েছিল মীরের মনে ৷ এ ভাবেও শ্রদ্ধা জানানো যায় পূর্বসূরিকে? স্বীকার করা যায় উত্তরাধিকারের দায়িত্ব ? ঋতুপর্ণর প্রতি সেই মুগ্ধতা ক্রমেই গাঢ় হয়েছে মীরের হৃদয়ে ৷

advertisement

তা হলে ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’-র সেই বিতর্কিত পর্ব? হয়েছিল, অভিমান হয়েছিল ৷ স্বীকার করেছেন মীর ৷ দাদার সঙ্গে ছোটভাইয়ের মতান্তরে যে অভিমান হয়, সেটাই হয়েছিল৷ কেন মীরের নকলনবিশি ভাল লাগেনি-তা নিয়ে ঋতুপর্ণ যে যুক্তি দিয়েছিলেন, তার সবগুলো মানতে পারেননি মীর ৷ শিল্পীর কথায়, তিনি প্রয়াত বহু ব্যক্তিত্বের মিমিক্রি করেছেন ৷ সাত বছর আগে মীর বলেন, বিদূষক রূপে ভবিষ্যতেও ঋতুপর্ণ ঘোষকে নকল করবেন ৷ কিন্তু অটুট থাকবে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান ৷

advertisement

যে শ্রদ্ধা অর্পণ করেছিলেন অনেকদিন আগেই, যখন দেখেছিলেন ঋতুপর্ণর মতো ব্যক্তিত্ব কত সময় দেন একজন নবাগতকে ৷ কীভাবে তাঁর বাড়িতে অবাধ ও সমান গুরুত্ব পান একজন খ্যাতনামী এবং একজন শিক্ষানবিশ ৷ দ্বিধাহীন কণ্ঠে জানিয়েছেন, প্রয়াত পরিচালকের প্রতি তাঁর মনে শ্রদ্ধা ছাড়া আর কোনও অনুভূতি নেই ৷ কোনও রাগ, বিদ্বেষ পুষে রাখেননি তিনি ৷

advertisement

বরং, ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’-র বিস্ফোরক পর্বের পর মীর অনেক মুখোশ পরা মানুষকে চিনতে পেরেছেন ৷ যাঁরা ওই বিতর্ক থেকে ফায়দা লুঠতে চেয়েছিলেন ৷ সেই পর্বের দেড় বছর পর ‘মীরাক্কেল’-এর পঞ্চম মরসুমে দু’টি পর্বে এসেছিলেন ঋতুপর্ণ ৷ তখনই সেই মায়াময় ‘আয়’ শব্দে সব অভিমানের বরফ গলে গিয়েছিল ৷

তিনি ছিলেন সকলের থেকে আলাদা, তিনি ছিলেন তাঁর নিজের মতো ৷ ঋতুপর্ণ ঘোষ নারী, না পুরুষ, সেটা বিচার করার ভার একমাত্র আছে ঋতুপর্ণ ঘোষেরই ৷ অন্য কারওর নয় ৷ দৃঢ় বিশ্বাস মীরের ৷ তাই তিনি ঠিক যেরকম ছিলেন, ঠিক সেরকম ভাবেই মায়াময়, আন্তরিক, কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান, নরম মনের বইপাগল এই প্রতিভাবানকে পরজন্মেও পেতে চান মীর ৷ সঞ্চালক তথা শিল্পী আকণ্ঠ বিশ্বাস করেন পরজন্মতত্ত্বে ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘায় তো অনেকবার এসেছেন! কিন্তু জানেন কি দিঘায় প্রথম খাবারের হোটেল কোনটি বলতে পারলে আপনি
আরও দেখুন

কারণ মীরের বিশ্বাস, ব্যক্তি ঋতুপর্ণকে আমরা ঠিক মতো অনুধাবন করতে পারিনি ৷ তার জন্য প্রয়োজন আরও বেশ কিছু ঋতুর ৷ মীরের কথায়, ঋতু বদলায়, কিন্তু প্রতিভা অপরিবর্তনীয়, শাশ্বত ৷

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
Rituparno Ghosh and Mir: ‘ঋতুদা’র ওই একটা ‘আয়’ বলে ডাক বহু ঠান্ডা লড়াই গলিয়ে দেবে’
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল