দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনগুলিতে অন্য বছর এসময়ে পুজো প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। আবাসনের কমিউনিটি হল বদলে যেত মণ্ডপে। লাস্ট মিনিটের টাচ। প্রতিমার বায়না থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। শেষ মুহূর্তের চাঁদা তোলার হিড়িক। এবছর সবই হচ্ছে। তবু কোথাও যেন একটা দ্বিধা-জড়তা কাজ করছে।
কমিউনিটি হলে পুজো হবে। কিন্তু অঞ্জলি? অথবা সিঁদুর খেলা? কিভাবে হবে ভোগ বিতরণ, কমিউনিটি লাঞ্চ? এসব নিয়ে এখনও দ্বিধায় আবাসিকরা। নামমাত্র পুজো হোক !! করোনা আবহে উৎসবকে এড়াতে চাইছেন অনেক আবাসিকরা। তবে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে বেশকিছু আবাসন আবার কয়েক কদম এগিয়ে। ব্যানার হোডিং আল্পনায় সাজছে আবাসন। নিউটাউনের আবাসনে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রিহার্সালও। যদিও, কোভিড ঋতুতে পুজোর বেশ কিছু অংশ ভার্চুয়ালি করার ভাবনা আবাসিকদের। শাস্ত্র মতে পুজো করতে ইচ্ছুক ইস্টার্ন হাই আবাসিকরা। তবে কোভিড শস্ত্র হাতে।
advertisement
পুজো হবে কিন্তু মনে একটা আতঙ্ক কাজ করছে সকলেরই। আবাসনে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকুন। পুজোর মজাও বেশ অন্যরকম। কলকাতায় শেষ কয়েকবছরে আবাসনের পুজোগুলোতেও থাকে নানা আর্কষণ। তবে এবছর যেন সব কিছুতেই একটা ভয় কাজ করছে। করোনা আসার পর থেকে বদলে গিয়েছে । এবছর পুজোতে কোথাও নেই জাঁকজমক। প্রতি বছর এই সময় পুজোর হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যায় কলকাতা। এবার কিছুই নেই। পুজো আসছে কিন্তু পুজোর সেই আমেজ যেন কোথাও ঢাকা পড়ে যাচ্ছে আতঙ্কের মধ্যে। তবে মা তো আসবেনই । করোনার সব সতর্কতা মেনেই হবে পুজো। ঠাকুর দেখা, ধুনুচি নাচ সবই হবে। তবে ওই একটু সাবধান থাকতে হবে। আনন্দ করতে গিয়ে যাতে বিপদ না বাড়ে সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
