আজ ১৮ জুন এই মহান নায়িকার মৃত্যুবার্ষিকী, আজকের দিনে তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১৯ নভেম্বর, ১৮২৮ সালে বারাণসী-তে মারাঠী করাডে ব্রাহ্মণ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁর সঠিক জন্মদিন নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
ছোটবেলায় তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মণিকর্ণিকা (Manikarnika)। কিন্তু, তাঁকে সবাই ভালবেসে ডাকত 'মনু' বলে।
advertisement
তাঁর যখন মাত্র চার বছর বয়স, তখন তাঁর মা মারা যান।
মণিকর্ণিকার পরিবার নানা সাহেবের (Nana Sahib) আত্মীয় ছিলেন।
মণিকর্ণিকা পেশোয়া প্রাসাদে লালিত-পালিত হয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় পেশোয়া বাজিরাও তাঁকে নিজের মেয়ে হিসাবে দেখতেন। ভালোবেসে তাঁর নাম রেখেছিলেন "ছাবিল্লি"।
নানা সাহেব এবং তাঁতিয়া টোপির (Tatya Tope) সঙ্গে বড় হয়েছেন লক্ষ্মীবাঈ। লক্ষ্মী তাঁর বয়সী বাচ্চাদের থেকে বেশ আলাদা ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্বাধীন এবং ঘোড়া চালানো, মার্শাল আর্ট, তরোয়াল চালানো, বিভিন্ন খেলাধুলা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
প্রাসাদ, মন্দির ও অন্যান্য জায়গায় চলাফেরার জন্য তিনি ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত করতে পছন্দ করতেন। সেই সময়ে মেয়েরা ‘পালকি’-র ব্যবহার করতেন, কিন্তু মনু ‘পালকি’ চড়তে পছন্দই করতেন না।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ঝাঁসীর রাজা গঙ্গাধর রাও (Gangadhar Rao) নিওয়াকরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মনু। বিয়ের পরই তার নতুন নামকরণ হয় 'রানি লক্ষ্মীবাঈ'।
বিয়ের পর রানি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন, কিন্তু মাত্র ৪ মাস বয়েসেই পুত্র সন্তানের মৃত্যু হয়।
পুত্র শোক ভুলতে রাজা এবং রানি উভয়েই আনন্দ রাওকে (Anand Rao) দত্তক নেন। আনন্দ রাও ছিলেন গঙ্গাধর রাওয়ের জেঠতুতো ভাইয়ের ছেলে।
রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর অনুপ্ররণাময় বাণী:-
"আমার ঝাঁসি কখনও আত্মসমর্পণ করবে না"
“যদি যুদ্ধের ময়দানে আমাদের পরাজয় ও মৃত্যু হয়, তাহলে আমরা গৌরবের সঙ্গে সেই মৃত্যু বরণ করে নেব ”
“আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। শ্রীকৃষ্ণের মতন আমরা যদি বিজয়ী হই তাহলে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রথম হয়ে তার ফল উপভোগ করব ”