TRENDING:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অটোগ্রাফের বদলে ছোট্ট সত্যজিতের খাতায় লিখেছিলেন কবিতা!

Last Updated:

বলা হয় সত্যজিৎ রায় খুব ভাল করে চিনতেন রবীন্দ্রনাথকে। আর তাই জন্যই সত্যজিৎ যখনই রবি ঠাকুরের গল্প নিয়ে কোনও ছবি করেছেন তা সেরার সেরা হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বলা হয় সত্যজিৎ রায় খুব ভাল করে চিনতেন রবীন্দ্রনাথকে। আর তাই জন্যই সত্যজিৎ যখনই রবি ঠাকুরের গল্প নিয়ে কোনও ছবি করেছেন তা সেরার সেরা হয়েছে। তবে শুধু সিনেমার জন্যই সত্যজিৎ কাছে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের এমনটা নয়। বরং একটা অন্য সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে। সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষরা থাকতেন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। সেখান থেকেই সত্যজিতের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় কলকাতায় চলে আসেন। তারা এখানে এসে থাকতে শুরু করেন উত্তর কলকাতার কর্নওয়ালিশ রোডে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে উপেন্দরকিশোর রায়ের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। সত্যজিতের বাবা সুকুমার রায়কেও খুব পছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সুকুমার রায়ের লেখাও বেশ পছন্দের ছিল রবীন্দ্রনাথের।
photo source collected
photo source collected
advertisement

রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন ৬০, সত্যজিতের তখন জন্ম হয়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম দেখা হয় শান্তিনিকেতনে। সত্যজিতের মা সুপ্রভা রায় ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন রবি ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে। তখন সত্যজিতের বয়স ১০ বছর। সত্যজিৎ রায় একটা খাতা নিয়ে গিয়েছিলেন ঠাকুরের অটোগ্রাফ নেবেন বলে। কিন্তু রবি ঠাকুর খাতায় সই না করে খাতাটা নিজের সঙ্গে করে নিয়ে চলে যান। এতে খুব কষ্ট পান ছোট্ট সত্যজিৎ। পরদিন আবার ঠাকুরের দেখা পেতে সত্যজিৎ রবি ঠাকুরের উত্তরায়ণের বাড়িতে যান। সেখানে যেতেই রবি ঠাকুর খাতাটি ফেরত দেন সত্যজিৎকে। সেই খাতার মধ্যে লেখা ছিল সেই বিখ্যাত কবিতা---

advertisement

পরদিন সকালবেলা সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের উত্তরায়ণে গিয়ে হাজির হলে ফেরত পান খাতা। সে-খাতার ভেতর লেখা ছিল আট লাইনের একটি কবিতা---

বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে

বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা

দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শিষের উপরে

advertisement

একটি শিশির বিন্দু।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ছোট্ট সত্যজিৎ, photo source collected

রবীন্দ্রনাথ-সত্যজিৎ সম্পর্ক এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ১৯৩৭ শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন সত্যজিৎ রায়। সত্যজিতের বয়স তখন ১৬। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু অবধি তিনি শান্তিনিকেতনেই ছিলেন। এর পর চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তিনি ছবি বানাতে এসে একের পর এক রবি ঠাকুরের গল্পের নিয়ে কাজ করেন। এবং সেই ছবি গুলো সর্বকালের সেরা ছবি হয়ে থেকে গিয়েছে আজও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অটোগ্রাফের বদলে ছোট্ট সত্যজিতের খাতায় লিখেছিলেন কবিতা!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল