বোলপুর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। একসময়ের দেউলেশ্বর আজ দেউলি নামে পরিচিত। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। গ্রাম ঢুকতেই চোখে পড়ল শিবমন্দির। তার ঠিক সামনে অশ্বথের ঝুরি ঘেরা খ্যাঁদা পাবর্তীর মন্দির।
দরজা ঠেলে ঢুকলাম মন্দিরের ভিতরে। রোজের মতোই পুজো হয়েছে পার্বতীর। ছড়িয়ে রয়েছে গ্যাঁদা ফুলের পাপড়ি। মুর্তির মুখের দিকে তাকলে একটু থমকে যেতে হয়। নাক প্রায় নেই বললেই চলে। দশের বদলে আট-টা হাত। এখানেই পরিচয় গ্রামের উত্তম গুপ্তের সঙ্গে।
advertisement
এই মতের দ্বিমতও আছে। গ্রােমর অনেকে মনে করেন, পাল বা সেন রাজাদের আমলে অজয় নদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এই মূর্তি। তখন থেকেই নাকি তাঁর দুটো হাত নেই। ছিল না নাকের কিছু অংশও। তবুও পার্বতী এখনও মায়াময়ী।
পাঁচ দিনের দুগ্গা পুজো। তবে নবমী ছাড়া বাকি দিনগুলোয় শুধুই নিত্যপুজো হয়। বোলপুরের বাসিন্দাদের কাছে নবমী-ই আসল। ওই একদিনই দুর্গার আবাহন হয় পার্বতী মন্দিরে। নিশি পেরনোর আগেই উৎসবের সব আমেজ যেন শুষে নিতে চায় গ্রামের নতুন প্রজন্ম।
আজও বারোয়ারি পুজোর রেওয়াজ নেই গ্রামে। একটিমাত্র পুজো হয়। তাও ঘটে। কারণ, গ্রামের মেয়ে পার্বতীকে উপেক্ষা করে অন্য মূর্তিতে পুজো অসম্ভব। গ্রামে এখনও খ্যাঁদা পার্বতী-ই শেষ কথা।
